বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- এটা পরিষ্কার মুখ্যমন্ত্রী এইসব চোর, ডাকাত, ক্রিমিনাল, টেরোরিস্টদের সঙ্গে রয়েছেন। কারণ সামনে লোকসভা নির্বাচন। ভোটব্যাংক বাড়াতে হবে। এবং এক শ্রেণীর তুষ্টিকরনের জন্য, নির্বাচনে ৩০ শতাংশ ভোটের জন্য শাহাজাহানের মত এইসব গুন্ডাদের দেশবিরোধী কার্যকলাপ যারা করে, যারা একদম বিভিন্ন ধরনের নেগেটিভ ব্যবসা, খুনখারাপির সাথে যুক্ত রয়েছে তাদেরকে মদত দিয়ে যাচ্ছেন। বিজেপিদের ধরে ধরে গ্রেফতার করা হচ্ছে, আর এইসব লোকদের লোকসভা নির্বাচনের আগে ছেড়ে রাখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিজেপির বর্ধমান সাংগঠনিক জেলা অফিসে সাংগঠনিক বৈঠকে এসে একথা বলে গেলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের নবীন প্রবীণ দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে লকেট বলেন, এটা বুঝতেই পারা যাচ্ছে পিসির দল, ভাইপোর দল কে হবেন পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী, কার হাতে রাজত্ব যাবে সেটা নিয়ে এখন নিজেদের মধ্যে চলছে। যারা পিসির সাথে রয়েছেন তাঁরা পিসির গুণগান গাইছেন, যারা ভাইপোর সাথে রয়েছেন তাঁরা যুব সমাজের গুণগান গাইছেন। কী নতুন কী পুরোনো এখানে সবাই চোর। এটাই প্রমাণিত হয়েছে। গত ১২ বছরে এরা জনগণের জন্য কোনও উন্নয়ন করেনি। শুধু নিজেদের পকেটে পয়সা পুড়েছে। সিন্ডিকেট, তোলাবাজির মাধ্যমে নিজেদের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি করেছে। যেখানেই তল্লাশি হচ্ছে সেখানেই হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি পাওয়া যাচ্ছে। বিদ্যাসাগর, রামমোহন, রবীন্দ্রনাথ, বঙ্কিমচন্দ্র বাংলা থেকে বিশ্বের জায়গায় স্থান নিয়েছেন। আমরা যেখানেই যাই তাঁদের নাম বলে গর্ববোধ করি। আর আজ বাংলার নাম করলে সেখানের শিক্ষামন্ত্রীকে জেলার মধ্যে পাওয়া যায়। পড়াশোনার নামে টাকা দিয়ে চাকরি পাচ্ছে, আর যাদের যোগ্যতা আছে তাঁরা চাকরি পাচ্ছেন না। বাংলাকে সম্পূর্ণ রসাতলে নিয়ে গেছে। ২০২৪ সালে আবার মানুষ সুযোগ পাচ্ছেন এর জবাব দেবেন। উল্লেখ্য, লোকসভা ভোট এগিয়ে আসতেই পূর্ব বর্ধমান জেলায় বিজেপি রাজ্য, কেন্দ্র নেতৃত্বের আনাগোনো বেড়ে গেল। এদিনই লকেট চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি রাজ্য সহ-সভাপতি রথীন্দ্র বোস, ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খান প্রমুখরাও আসেন সাংগঠনিক বৈঠক করতে।