বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- দুদফা দাবী আদায়ে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের লাগাতার বঞ্চনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার অনশন আন্দোলনে নামলেন অল ইণ্ডিয়া লোকো রানিং স্টাফ এ্যাসোসিয়েশন। গোটা দেশ ব্যাপী বিশেষত ট্রেনের চালকরা একইসঙ্গে এই দাবীতে আন্দোলনে নামায় আতংকও সৃষ্টি হল। এই সংগঠনের বর্ধমান ইউনিটের জোনাল সম্পাদক মৃণালকান্তি শীল জানিয়েছেন, রানিং স্টাফদের রার্নিং এ্যালাউন্স বকেয়া, এছাড়াও যাঁরা অবসর নিয়েছেন তাঁরাও সংশোধিত পেনশনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। বারবার রেল কর্তৃপক্ষকে তাঁরা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এ বিষয়ে জানিয়ে আসলেও কোনো প্রতিকার হয়নি। তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা কেন্দ্রীয় রেল বোর্ডের কাছে দাবী জানিয়েছেন, আরএসি -১৯৮০কে মান্যতা দিয়ে সপ্তম বেতন কমিশনের পর গত ২০১৬ জানুয়ারী থেকে রানিং এ্যালাউন্স রেট সংশোধন নির্ধারিত করার পাশাপাশি সমস্ত বকেয়া প্রদান করতে হবে। তাঁরা দাবী জানিয়েছেন, ২০১৬ সালের জানুয়ারী মাসের আগে যাঁরা অবসর নিয়েছেন তাঁদেরকেও সংশোধিত পেনশন দিতে হবে। এদিকে, এই দাবীতে মঙ্গলবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার অনশন আন্দোলনকে ঘিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এই এ্যাসোসিয়েশনের বর্ধমান ইউনিটের জোনাল সভাপতি আর বি যাদব জানিয়েছেন, আন্দোলনরত ট্রেনের চালকরা এদিন থেকেই অনশন অবস্থাতেই গাড়ি চালাচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা তাঁদের এই আন্দোলন নিয়ে রেলের সমস্ত দপ্তরে জানিয়েছেন। যেহেতু তাঁরা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই তাঁদের ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত তাই বাধ্য হয়েই তাঁরা এই আন্দোলনের পথে পা বাড়িয়েছেন। অনশনরত অবস্থায় ট্রেনের যাত্রীদের নিয়ে ট্রেন চালানোয় যে কোনো সময়ই দুর্ঘটনা ঘটলেও এব্যাপারে সম্পূর্ণ দায়ভার রেল কর্তৃপক্ষের ঘাড়েই চাপিয়েছেন আর বি যাদব। তিনি জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় সরকার বিমাতৃসুলভ আচরণ করছেন। তাই ঝুঁকিবহুল কিংবা যাত্রীদের সুরক্ষা প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দাঁড়ালেও তাঁরা এই আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন। যদিও এব্যাপারে বর্ধমান ষ্টেশন ম্যানেজার স্বপন অধিকারী জানিয়েছেন, চালকদের কিছু দাবীদাওয়া নিয়ে টোকেন অনশন আন্দোলন করলেও এর কোনো প্রভাব রেল পরিষেবায় পড়েনি। তিনি জানিয়েছেন, কোনো চালকই অনশনরত অবস্থায় গাড়ি চালাননি। কারণ গাড়ি চালানোর আগে তাঁদের ফিটনেস সংক্রান্ত বিষয়ে সম্মতি দিতে হয় এমনকি তাঁদের কিছু পরীক্ষা করার পরই ট্রেন চালানোর ছাড়পত্র দেওয়া হয়।