E Purba Bardhaman

লোকসভা নির্বাচন ~ পূর্ব বর্ধমান জেলায় এল কেন্দ্রীয় বাহিনী, রুট মার্চের প্রস্তুতি

Lok Sabha elections ~ Central forces arrived in Purba Bardhaman district, preparation for route march

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- পূর্ব ঘোষণা মতই শুক্রবার রাতে পূর্ব বর্ধমান জেলায় এল দুই কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী (সিআইএসএফ)। এর মধ্যে এক কোম্পানি কাটোয়া মহকুমায় এবং অন্য আর এক কোম্পানি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ মোড়ে আন্তর্জাতিক ছাত্রাবাসে এসে উঠল। ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে চর্চার মধ‌্যেই শুক্রবার সন্ধ্যায় বর্ধমানে কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে আসায় রাজনৈতিক পারদ তুঙ্গে উঠেছে। জানা গেছে, আগামী ৭ মার্চের মধ্যে চলে আসবে আরও এক কোম্পানি। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার থেকে এই বাহিনীকে জেলার বর্ধমান, কাটোয়া ও নাদনঘাট থানার কয়েকটি জায়গাতে রুট মার্চ এবং অঞ্চলভিত্তিক নিয়ন্ত্রণ (এরিয়া ডমিনেশন) কাজে ব্যবহার করা হবে। বৃহস্পতিবারই নির্বাচন কমিশনের তরফেও ভোটারদের মধ্যে ‘ভয় কাটাতে’ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটারদের আস্থা বাড়ানোর জন্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করা হবে। আর সে জন্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাখার জন্যে ৭টি জায়গাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাহিনী বাড়লে জায়গা বাড়ানোরও পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গেছে। জেলা পুলিশ থেকে জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে, কাটোয়ার কৈথনের কর্মতীর্থ, পূর্বস্থলী ১ ব্লকের কিসান মান্ডি, রায়না ১ ব্লকের কিসান মান্ডি, বর্ধমানের গোলাপবাগে আন্তর্জাতিক হোস্টেল, গলসির কোলকোল, মেমারির আলিপুর, মঙ্গলকোটের নতুনহাট শিক্ষক-প্রশিক্ষণ কেন্দ্রতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, “নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মতো কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ জায়গাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে রুট মার্চ করানো হবে।” জেলা পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রথম তিন কোম্পানি বর্ধমান শহর, নাদনঘাট ও কাটোয়া থানা এলাকার নির্দিষ্ট জায়গাতে রাখা হবে। সেখান থেকেই বর্ধমান উত্তর, কাটোয়া মহকুমা ও কালনা মহকুমার বিভিন্ন জায়গাতে রুট মার্চ ও অঞ্চলভিত্তিক নিয়ন্ত্রণের কাজ করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। পরে আরও একটি কোম্পানি এলে তাঁদের রায়নার কিষান মান্ডিতে রাখা হবে। সেখান থেকেই রায়না, মাধবডিহি, খণ্ডঘোষ ও জামালপুর থানা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। উল্লেখ্য, গোটা রাজ্যে প্রথম দফায় ১০০ কোম্পানি, পরে আরও ৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে আসছে। পুলিশ মহলের দাবি, গত ডিসেম্বর মাস থেকে প্রতিটি থানা কমিশনের কাছে আইনশৃঙ্খলার রিপোর্ট পাঠাচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখেই ভোটের সূচি ঘোষণার আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে।

Exit mobile version