E Purba Bardhaman

সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে বিয়ে, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় উদ্ধার করল প্রশাসন

ভাতার (পূর্ব বর্ধমান) :- নাবালিকা বিয়ে রোধে গোটা রাজ্য জুড়েই চলছে কন্যাশ্রী ক্লাবের প্রচার। রয়েছে সরকারী বিধি নিষেধ। এমনকি খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই নাবালিকা বিয়ে রোধে চালু করেছেন কন্যাশ্রী প্রকল্পও। কিন্তু এসব কিছুই আটকাতে পারল না পূর্ব বর্ধমানের ভাতার ব্লকের একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা। দশম শ্রেণীর ছাত্র সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে শুধু বিয়েই করল না, বর্তমানে ছাত্রীটি প্রায় দেড়মাসের অন্তঃসত্ত্বাও। আর এই ঘটনায় রীতিমত নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন। বর্তমানে ওই সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীটির ঠাঁই হয়েছে হোমে। জানা গেছে, ভাতারের আমারুন ষ্টেশন শিক্ষানিকেতনের ওই দুই ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি ছাত্রটির বাবা বিষয়টি জানতে পারেন। মেলামেশা বন্ধের উদ্যোগ নেন। কিন্তু এরপরই গত ২২ জুন বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে তারা। বিয়ের পর বালিকাবধুকে নিয়ে নিজের বাড়িতে ওঠার চেষ্টা করলেও তাতে মত দেননি ছাত্রটির বাবা। অতঃপর স্ত্রীকে নিয়ে সটাং শ্বশুরবাড়িতে হাজির হয় সে। সেখানেই সে ঘরজামাই হিসাবে থাকতে শুরু করে। এই ঘটনাকে ঘিরে রীতিমত চাঞ্চল্যও তৈরী হয়। মঙ্গলবার পাত্রের বাবা ভাতার বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। ব্লক অফিস থেকেই খবর দেওয়া হয় ভাতার থানা ও বর্ধমান চাইল্ড লাইনে। এরপরেই চাইল্ড লাইনের আধিকারিকরা মেয়েটিকে তার বাপের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে হোমে পাঠিয়েছে। এই ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন ভাতার ব্লকের শিশু ও নারীকল্যাণ আধিকারিক উজ্জ্বল সামন্ত। তিনি জানিয়েছেন, চাইল্ড লাইন ও পুলিশকে সঙ্গে নিয়েই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই নাবালিকার বাড়ি থেকে দুজনকেই উদ্ধার করা হয়েছে। সদ্য বিবাহিতা নাবালিকাকে চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বুধবার মেয়েটির মেডিকেল পরীক্ষার পর জানা গেছে, সে দেড় মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা। এরপর তাকে সরকারি হোমে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভাতারের বিডিও শুভ্র চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই ঘটনা সত্যিই চিন্তার। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, নাবালিকার পরিবার এব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করলে আইন অনুযায়ী ছাত্রটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Exit mobile version