মেমারী (পূর্ব বর্ধমান) :- বিস্তর ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রসূতি মায়েদের জন্য মাতৃযান ১০২ পরিষেবা চালু হলেও কার্যক্ষেত্রে সেই পরিষেবাই পেল না এক প্রসূতি। শেষ পর্যন্ত এক পুলিশ অফিসারের মানবিক মুখে রক্ষা পেলেন প্রসূতি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে শনিবার রাতে বর্ধমানের মেমারী থানার নুদিপুর এলাকায়। মেমারী গ্রামীণ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রসূতির নাম অনামিকা হেমব্রম, বাড়ি দিলালপুরে। শনিবার রাতে ওই প্রসূতি মহিলার প্রসব যন্ত্রণা শুরু হলে পরিবারের লোকজন বিনামূল্যে ১০২ নম্বরে মাতৃযানের জন্য ফোন করেন। কিন্তু যথাসময়ে সরকারি মাতৃযান না পাওয়ায় পরিবারের লোকজন বেসরকারিভাবে গাড়ি ভাড়া করে প্রসূতিকে নিয়ে মেমারী হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হন। কিন্তু পথে মেমারীর নুদিপুরের কাছে সেই গাড়ি বিকল হয়ে গেলে গাড়ির ভেতরেই যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন ওই প্রসূতি। সেই সময় রাস্তায় ডিউটিতে ছিলেন মেমারি থানার টহলরত পুলিশ অফিসার এসআই মনোহর বাগ। ওই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় এই পরিস্থিতি দেখে তড়িঘড়ি পুলিশের গাড়িতেই ওই প্রসূতিকে উদ্ধার করে মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসেন তিনি। হাসপাতালে ভর্তিরও ব্যবস্থা করেন। পুলিশের এই ভূমিকায় খুশি প্রসূতির পরিবারের লোকজন থেকে শুরু করে এলাকার মানুষজনরা। একইসঙ্গে প্রসূতির পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়া নিয়েও চরম ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। শুধু তাইই নয়, পরিবারের লোকজন এদিন জানিয়েছেন, ১০২ নম্বরে কল করে আপদকালীন সময়ে তাঁরা অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা পাননি। কিন্তু হাসপাতালে এসে দেখেন, ১০২ ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে।