পূর্ব বর্ধমানে তৈরী হতে চলেছে ৫ টি রেলসেতু, ভাঙা হবে বর্ধমানের পুরনো রেলসেতু
admin
বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- গত ২৪ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় কোনো মন্ত্রীকে বাদ দিয়েই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে উদ্বোধন হয়েছিল বর্ধমান-কাটোয়া রেলওয়ে ওভারব্রীজ। সেই নয়া ঝুলন্ত ব্রীজ দিয়ে বড় গাড়ি বা চারচাকার সমস্ত গাড়ি পারাপার করতে পারলেও তিনচাকা বা দুচাকার কোনো গাড়ি যাতায়াত এখনও শুরু হয়নি। পরিবর্তে পুরনো ব্রীজের ওপর দিয়েই তিনচাকা বা দুচাকার যান চলাচল করছে। এদিকে, নতুন ব্রীজ চালু হওয়ায় এবার পূর্ব রেল ইংরেজ আমলে তৈরী হওয়া বর্তমানে বিপদজনক বলে চিহ্নিত পুরনো ব্রীজটিকে ভেঙে ফেলার ওপর জোড় দিল। মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের সঙ্গে এব্যাপারে বৈঠকও করলেন পূর্ব রেলের সিনিয়র এসিস্ট্যান্ট ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার বিকাশ কুমার। বৈঠকে হাজির ছিলেন পুর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী, জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় সহ সমস্ত প্রশাসনিক আধিকারিকরাও। বিকাশ কুমার জানিয়েছেন, কিভাবে ওই পুরনো ব্রীজকে ভেঙে ফেলা হবে এদিন তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করে ওই ব্রীজকে ভেঙে ফেলতে প্রায় ৬ মাস সময় লাগবে বলে তিনি এদিন জানিয়ে যান। যদিও এব্যাপারে জেলাশাসক বিজয় ভারতী জানিয়েছেন, তাঁরা রেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন, পুরনো ব্রীজের জায়গায় সেখানে ফুটব্রীজ তৈরী করা হোক। যাতে যাঁরা হেঁটে চলাচল করবেন তাঁরা ওই ফুটব্রীজের ওপর দিয়ে যাতায়াত করতে পারেন। জেলাশাসক জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি নিয়ে তিনি রেলের জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গেও আলোচনা করবেন। এদিকে, এদিন রেলের সঙ্গে ব্রীজ নিয়ে এই বৈঠকের পর জেলাশাসক জানিয়েছেন, এখনও নতুন রেলওয়ে ব্রীজটি রেল হস্তান্তর করেনি। হস্তান্তরের প্রক্রিয়া অনেকটাই এগিয়েছে। এদিকে, এরই পাশাপাশি জেলাশাসক এদিন জানিয়েছেন, বর্ধমান এবং বীরভূমের সঙ্গে সংযোগকারী কুনুর নদীর ওপর থাকা ব্রীজটির অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। তাই এদিন বীরভূম প্রশাসনের সঙ্গে তাঁরা একটি সমন্বয় বৈঠকর করেছেন। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আগামী ৫ থেকে ২৫ নভেম্বর ওই ব্রীজের ওপর দিয়ে যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। একইসঙ্গে ওই সময়ের মধ্যে ব্রীজের মেরামতির কাজ করা হবে। এরই পাশাপাশি গলসী ১নং ব্লকের পাণ্ডুদহতে একটি ব্রীজ নিয়েও এদিন আলোচনা হয়েছে। ওই ব্রীজটির অবস্থা অত্যন্ত খারাপ । সেটি পুনরায় তৈরী করতে প্রায় ২ বছর সময় লাগবে। তাই কিভাবে যানচলাচল করানো হবে সে ব্যাপারে এদিন আসানসোল পুলিশ কমিশনারেটের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এছাড়াও পূর্ব বর্ধমান জেলায় ভেদিয়া, তালিত, মেমারীর ৩৩ ও ৩৮নং রেলগেট এবং মশাগ্রামে রেলওয়ে ওভারব্রীজ নিয়েও একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে।