Site icon E Purba Bardhaman

বর্ধমানের মেমারীতে মোমো গেম নিয়ে আতংক

Memari youth got a whatsapp message for playing Momo challenge game on mobile

বিপুন ভট্টাচার্য, মেমারী (পূর্ব বর্ধমান) :- গোটা রাজ্যের পাশাপাশি এবার মোমো গেমের আতংক ছড়ালো পূর্ব বর্ধমানের মেমারী দেশবন্ধুপল্লী এলাকাতেও। শনিবার স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর মোবাইল ফোনে মোমো গেম নিয়ে মেসেজ আসার খবরে গোটা এলাকা জুড়েই তীব্র আতংক দেখা দিয়েছে। শুধু ওই ব্যবসায়ীই নয়, ইতিমধ্যেই মেমারী অঞ্চলের বিভিন্ন জনের কাছেই এই ধরণের মেসেজ আসার খবরে আতংক আরও ছড়িয়েছে। যদিও এব্যাপারে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অহেতুক আতংকিত না হবার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্তও শুরু হয়েছে। মেমারি থানার দেশবন্ধুপল্লী এলাকার বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী পার্থ বিশ্বাস নামে এক যুবককের ফোনে শনিবার হোয়াটসআপে মোমো গেম খেলার মেসেজ আসায় তীব্র আতংক ছড়ায়। আতংক আরও ছড়িয়েছে যে নাম্বার থেকে ওই মেসেজ আসে তা বিদেশের নাম্বার হওয়ায়। এমনকি বাংলায় পার্থবাবুকে ওই মেসেজে লেখা হয়েছে, তিনি মোমো গেম খেলবেন কিনা ? কিভাবে পার্থ বিশ্বাসের নাম জেনে সরাসরি তাঁর হোয়াটসআপে এই মেসেজ এল তা নিয়ে বিশ্বাস পরিবারের সঙ্গে সঙ্গে গোটা এলাকাতেই আতংক ছড়িয়েছে। স্থানীয় অপর বাসিন্দা সুখেন্দু ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, শুধু পার্থ বিশ্বাসের কাছেই নয়, ইতিমধ্যেই তাঁরা খবর পেয়েছেন আরও অনেকের কাছেই এই ধরণের মেসেজ এসেছে। ফলে গোটা এলাকায় আতংক ছড়িয়েছে। গোটা বিষয়টি বুঝতে পারার পর তাঁরা সকলের কাছেই এব্যাপারে সচেতন করার চেষ্টাও করছেন। পার্থবাবু জানিয়েছেন, শনিবার রাতে আসা হোয়াটসআপে ওই মেসেজে লেখা ছিল, ‘হায়, আমি মমো।’ পরে ওইদিন রাতে আরও একটি মেসেজ আসে। যেখানে লেখা ছিল, ‘পার্থ তুমি কি মোমো চ্যালেঞ্জ খেলবে’। পরপর দু’টি মেসেজ আসার পরে পার্থবাবু ওই নম্বরটি ব্লক করে দেওয়ার পাশাপাশি গোটা ঘটনাটি তিনি প্রথমে পরিচিত এবং আত্মীয়দের জানান। তাঁদের পরামর্শেই তিনি ওই নাম্বারটি ব্লক করে দেন। তিনি জানিয়েছেন, এরপর কি অন্য কোনো ধরণের মেসেজ আসবে – তানিয়েই তাঁরা আতংকিত হয়ে পড়েছেন। বিশেষত, সাম্প্রতিককালে ব্লু হোয়েল নিয়ে যেভাবে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের মোমো গেম নিয়ে একই অবস্থার সৃষ্টি হওয়ায় তিনি চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। পার্থবাবু জানিয়েছেন, এব্যাপারে তিনি পুলিশ প্রশাসনকে জানাচ্ছেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রিয়ব্রত রায় বলেন, ‘জেলা পুলিশের সাইবার সেলের আধিকারিকরা বিষয়টি নিয়ে খতিয়ে দেখছেন। বিভিন্ন স্কুলে এই ধরণের সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে সচেতনতার প্রচার শুরু চলছে। সাধারণ মানুষকেও সচেতন করা হয়েছে, এই ধরণের বিষয় থেকে দূরে থাকার জন্য। অসুবিধা হলেই পুলিশকে জানানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

Exit mobile version