বিপুন ভট্টাচার্য, ভাতার (পূর্ব বর্ধমান) :- চোরের আবার রকমফের। নাকি ক্যাটাগরী – তা নিয়েই এখন রীতিমত চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতার এলাকায়। চোরের ক্যাটাগরী – ভাবলেই কিরকম যেন অবাক হওয়ার মতই ঘটনা। কিন্তু বুধবার রাতে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে চক্ষু চড়কগাছ এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে খোদ পুলিশ মহলেও।রাতে জানালা ভেঙে ঢুকে মোবাইল চুরি করল চোর। চার্জ দেওয়ার জন্য চার্জার সঙ্গে নিয়ে গেলেও মোবাইল মালিকের অসুবিধের কথা ভেবে খুলে রেখে গিয়েছে দুটি সিমকার্ড। সঙ্গে ইংরেজিতে লেখা চিঠি। তাতে বলা হয়েছে,মোবাইলটা একমাসের জন্য খুবই প্রয়োজন। তাই নিয়ে গেলাম। তবে চিন্তা তা করিস না। কাজ মিটলেই ফেরত দিয়ে যাব। মোবাইলের মালিক স্বজন মিঞা তখন ঘুমিয়ে ছিলেন। মাঝরাতে তার ঘরে ঢুকে চেয়ারে বসে স্বজনের পেন দিয়েই ঝরঝরে ইংরেজিতে চিঠি লিখে নিচের গ্রিলের তালা খুলে চম্পট দেয় চোর। পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের কলপুকুর পাড় এলাকায় এমন অভিনব চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পেশায় লটারির টিকিট ব্যবসায়ী স্বজন সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার জন্য অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এলার্ম দিয়ে টেবিলে রেখে শুয়ে পড়েন। আজ সকালে ঘুম ভাঙে একটু বেলাতেই। সময়ে এলার্ম কেন বাজলো না তা দেখতে গিয়েই চক্ষু চড়কগাছ। মোবাইলের জায়গায় ইংরেজিতে লেখা চিঠি। তার ওপর দুটি সিম,একটি সূচ। সেই সূচ দিয়েই খোলা হয় সিম– ধারনা স্বজনের। পেনের কালি দেখে লটারীর টিকিট বিক্রেতাস্বজন নিশ্চিত, তারই পেন দিয়ে লেখা হয়েছে এই চিঠি। চোর হয়তো কথা রাখবে, কিন্তু তার দেওয়া সময়ের আগেই সাধের মোবাইল ফিরে পেতে ভাতার থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন স্বজন। ভাতার থানার পুলিশ জানিয়েছে,প্রাথমিকভাবে অনুমান স্বজন মিঞার কোনো পরিচিত ব্যক্তির কাজ হতে পারে এটা। তবে ফোনের আইএমইআই নম্বর থেকে ফোনের হদিশ পেতে চেষ্টা করছেন তাঁরা।