বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- দমদমের নাগেরবাজার এলাকায় একটি ফাষ্ট ফুডের দোকানের কর্মীর মোমো গেম নিয়ে অসংলগ্ন আচরণ করায় তাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হল। যুবকের নাম শুভদীপ বারিক। বছর ২০-এর এই যুবকের বাড়ি পূর্বস্থলীর পাটুলি এলাকায়। যুবকের মামা সঞ্জীত পালের দাবী, শুভদীপ কলকাতার দমদমে নাগের বাজার এলাকায় একটি চাইনিজ দোকানে সে কাজ করে। কয়েকদিন ধরেই তার মধ্যে মানষিক অস্থিরতা এবং অসুস্থতা দেখা দেয়। গত বৃহস্পতিবার সঞ্জীতবাবুকে ফোন করে শুভদীপ তার মাকে চায়। কিন্তু তিনি সঞ্জীতবাবুর কাছাকাছি না থাকায় মায়ের সঙ্গে কথা হয়নি। সঞ্জীতবাবুর দাবী, শুভদীপের কথায় তিনি অসামঞ্জস্য বুঝতে পারেন। এরপরই তিনি শুক্রবার তিনি ওই দোকানে যান। কিন্তু শুভদীপ তাঁকে চিনতে পারেনি। এমনকি সে চিত্কার করে বলতে থাকে, মোমো তাকে মেরে ফেলবে। এরপর তিনি শুভদীপকে নিয়ে চলে আসেন। শুক্রবারই তাঁরা পূর্বস্থলী থানায় সবকিছু জানান। পুলিশের পরামর্শেই শুক্রবার রাত্রি ১২টা নাগাদ তাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাকে মানষিক বিভাগে ভর্তি করে চিকিত্সা চলছে। পূর্বস্থলী থানার পুলিশের কাছে শুভদীপের মোবাইলটি জমা দেওয়া হয়েছে। যদিও ঘটনাটির পিছনে মোম গেম কোনও ভাবে যুক্ত কিনা সে বিষয়ে পুলিশ অথবা চিকিৎসক এখনই নিশ্চিতভাবে কিছু জানতে পারেনি। অন্য একটি ঘটনায় কালনার নাদনঘাটের এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর সঙ্গে মোম গেমের যোগ থাকতে পারে বলে আত্মীয়পরিজনেরা প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ করছেন। নাদনঘাট থানার নোয়াপাড়া গ্রামের ওই মৃত যুবকের নাম সুজন দাস। ভিন রাজ্যে রাজমিস্ত্রি কাজ করে নিজের বাড়িতে কয়েকমাস আগেই ফিরেছিল সুজন দাস। সন্ধ্যে নামলেই নিজের মোবাইল গেম খেলতে ব্যাস্ত হয়ে পড়তো সুজন। শুক্রবার সুজন হঠাৎ রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। শনিবার ভোরে খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে বাড়ির বাইরে সুজনের গলায় ফাঁস লাগান অবস্থায় ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃত সুজনের বাঁ হাতে ব্লেডজাতীয় কিছু দিয়ে কাটা গভীর ক্ষত দেখতে পাওয়া যায়। আত্মীয়পরিজনের অনেকেই এই মৃত্যুর সাথে মোম গেমের যোগ থাকতে পারে বলে মনে করেছেন। যদিও প্রেম ঘটিত কারণ নাকি মোম গেমের সাথে যুক্ত হয়েই এই পরিণতি সে বিষয়ে পরিবার এখনও নিশ্চিত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি। তদন্তের জন্য সুজনের মোবাইল ফোনটি নাদনঘাট থানার পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে সুজনের পরিবার। মৃত্যুর কারণ খুঁজতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।