E Purba Bardhaman

বিজেপির সভা থেকে সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এবং জেলা সভাপতির মানি ব্যাগ চুরি, হৈ চৈ

Money bags of MP Saumitra Khan and BJP district president were stolen from the BJP meeting.

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- রবিবার বর্ধমানের গাংপুর স্বস্তিপল্লী মাঠে বিজেপির জনসভায় এসে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসকের স্বামী-সহ একাধিক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর তাঁর সেই সভার পর এবার মঙ্গলবার ওই একই মাঠে শুভেন্দুর পাল্টা সভা করার ডাক দিল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিত দাস জানিয়েছেন, ওই সভায় উপস্থিত থাকবেন রাজ্য মন্ত্রীসভার সদস্য পার্থ ভৌমিক, শশী পাঁজা-সহ দলের অন্যান্য নেতৃত্বরা।
এদিকে, রবিবার বিজেপির সভাস্থল থেকে মানিব্যাগ ‘চুরি’ গেল বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ও জেলা সভাপতি অভিজিৎ তাঁ-এর! রবিবার বিকেলে পূর্ব বর্ধমানে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে শক্তিগড়ের স্বস্তিপল্লি মাঠে বিজেপির বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার প্রতিবাদ সভা ছিল। সেখানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে হাজির ছিলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অভিজিৎ তাঁ-সহ অন্যান্য নেতারা। অভিজিৎ তাঁ জানান, সভা শেষ হওয়ার পরে ভিড়ে ভরা এলাকা থেকে বেরিয়ে তাঁরা খেয়াল করেন, সৌমিত্র খাঁ-এর এবং তাঁর টাকার ব্যাগ খোয়া গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে সাংসদ সৌমিত্র খাঁ জানান, সভাস্থল থেকে নেমে গাড়িতে চাপতে গিয়ে দেখেন তাঁর মানিব্যাগটা নেই। খোঁজ করেও মেলেনি মানিম্যাগ। মানিব্যাগে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা, এমপি আইডি কার্ড, আধার কার্ড ছাড়াও ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ছিলো। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপারের কাছে মেল মারফত অভিযোগ করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। সৌমিত্র খাঁ জানিয়েছেন, তাঁর পাশাপাশি জেলা সভাপতিরও মানিব্যাগ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি বেশ কয়েকজনের মোবাইলও মিসিং আছে বলে তিনি শুনেছেন।
এদিকে বিজেপির সভস্থল থেকেই মানিব্যাগ চুরির ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস জানান, এমনিতেই বিজেপির সভায় লোক ছিলো না, যদিও কিছু লোক মঞ্চে ছিলো সেখান থেকেই আবার মানিব্যাগ চুরি? তিনি বলেন, আমরা এতদিন বলতাম যে বিজেপিতে সব চোরেরা আছে। আজ সেটাই প্রমাণ হলো। কেননা তাঁদের মঞ্চে তো আর তাঁদের দলের নেতা-কর্মীরা ছাড়া অন্য কেউ ছিলো না, যে চুরি করবে। যদি করে তাদের দলের লোকেরাই করেছে। তবে তাঁদেরকে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। প্রসেনজিৎ দাস বলেন, অভিযোগ পেলে বাংলার পুলিশ তদন্ত করে দেখবে।

Exit mobile version