খণ্ডঘোষ (পূর্ব বর্ধমান) :- সাহায্য করার নামে এটিএম কার্ড বদল করে এক অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। তার অ্যাকাউন্ট থেকে হুগলির মহেশপুরের এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফারও করা হয়েছে। এভাবে প্রতারিত হয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন বৃদ্ধ। হারানো টাকা ফেরত পেতে এবং দোষীর শাস্তি দাবি করে খণ্ডঘোষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। অভিযোগ পেয়ে কেস রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। খণ্ডঘোষ থানার এক অফিসার বলেন, কেস রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। এটিএমের সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হবে। যে অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার হয়েছে সেটির সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়না থানার জোতসাদি গ্রামে মহম্মদ আজফার হোসেন মল্লিকের বাড়ি। খণ্ডঘোষের পলেমপুরে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের শাখায় তার পেনশন অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এছাড়াও স্ত্রীর সঙ্গে একটি জয়েন্ট অ্যাকাউন্টও রয়েছে সেখানে। জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের এটিএম কার্ড রয়েছে। পেনশন অ্যাকাউন্টটির সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্টটি যুক্ত করা আছে। দিনকয়েক আগে সকাল ৮টা নাগাদ তিনি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটির এটিএম কাউন্টারে টাকা তুলতে যান। দৃষ্টিশক্তি কম থাকায় তিনি এটিএম কার্ড ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারেন না। সেই সময় এটিএম কাউন্টারে এক যুবক দাঁড়িয়েছিল। সেই যুবকের কাছে টাকা তোলায় সাহায্য চান আজফার। টাকা তোলার জন্য তার কাছে এটিএম কার্ড চায় সেই যুবক। সরল বিশ্বাসে তিনি এটিএম কার্ডটি দিয়ে দেন। টাকা তোলার জন্য পিন কোড নম্বরও যুবককে বলে দেন তিনি। কাউন্টারের ভিতরে গিয়ে কিছুক্ষণ এটিএম কার্ড ব্যবহার করে টাকা তোলার অভিনয় করে সেই যুবক। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে সে জানায়, এটিএম কাউন্টারে টাকা নেই। শিক্ষককে অন্য কোনও এটিএম কাউন্টার থেকে টাক তোলার জন্য বলে সেই যুবক। সেইমতো তিনি বর্ধমান শহরে বিবেকানন্দ কলেজ মোড়ে এটিএম কাউন্টারে টাকা তুলতে আসেন। সেখানে এটিএম কার্ডটি ম্যাচ না করায় তার সন্দেহ হয়। কার্ডটি পরীক্ষা করে দেখেন। তাতে এক মহিলার নাম লেখা রয়েছে। এরপর তিনি ফের পলেমপুরে এটিএম কাউন্টারে যান। কিন্তু, সেখানে যুবককে আর দেখতে পাননি। এরপর ব্যাংকে গিয়ে তিনি অ্যাকাউন্টের সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। পাস বই আপ-টু-ডেট করার পর তিনি দেখেন, তার অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েক দফায় ৬৮ হাজার ৭০০ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ৪০ হাজার টাকা হুগলির মহেশপুরে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের শাখায় থাকা এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়েছে।