বিপুন ভট্টাচার্য, গলসী (পূর্ব বর্ধমান) :- পূর্ব বর্ধমানের গলসী কলেজে কলা বিভাগ ছাড়াও বাণিজ্য ও বিজ্ঞান বিভাগ চালু করার জন্য এবার কলেজের প্রহরী অঞ্জন সামের পাশে এসে দাঁড়ালো কলেজের ছাত্রছাত্রীর। সোমবার কলেজের এই দুটি বিভাগকে চালু করার জন্য কলেজের ছাত্রছাত্রীরা কলেজের অধ্যক্ষের ঘরের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শনও করে। পরে এই দাবীতে তারা রাস্তায় নেমে মিছিলও করে। অঞ্জনবাবু এদিন জানিয়েছেন, সন্তানসম ছাত্রছাত্রীদের যে আবেগ ও অনুভূতি এবং লেখাপড়ার প্রতি তাদের যে আগ্রহ সেটা দেখেই তিনি খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু তার এই আবেদনকে অনেকেই ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করেছে। কিন্তু এদিন তার এই দাবীকে সমর্থন জানিয়ে যেভাবে কলেজের ছাত্রছাত্রীরা এগিয়ে এসেছে তা তিনি ভাবতেও পারেননি। কার্যত এদিন তিনি আবেগের বসে কেঁদেও ফেলেন। তিনি জানান, রাজ্যের দরদী মুখ্যমন্ত্রী যেন গলসী কলেজের ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে এই কলেজে বাণিজ্য ও বিজ্ঞান বিভাগ চালু করেন। অন্যদিকে, কলেজের ছাত্রী জেসমিন খাতুন, অমিত হাটি প্রমুখরা জানিয়েছে, ইচ্ছা থাকলেও তারা অন্য কোনো বিভাগে পড়াশোনা করতে পারছেন না। অথচ অন্য বিভাগে পড়াশোনার জন্য তাদের যথেষ্ট মার্কসও রয়েছে। তারা জানিয়েছেন, অন্য কোনো কোর্সে পড়তে গেলে তাদের বর্ধমান যেতে হবে – যা তাদের আর্থিকভাবে এবং সময়াভাবে হচ্ছে না। এদিন কলেজের ছাত্রছাত্রীদের এই দাবীর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, গলসীর বাহিরঘন্যা গ্রামের বাসিন্দা অভিভাবক সফর মল্লিকও। তিনিও জানিয়েছেন, ২০০৭ সালে গলসী কলেজ প্রতিষ্ঠা হয়। কিন্তু এখনও কলা বিভাগ ছাড়া অন্য কোনো বিভাগ সেখানে চালু করা হয়নি। অথচ গলসী ১ ও ২নং ব্লকের প্রায় ৩০০-রও বেশি গ্রামের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জায়গা এই গলসী কলেজ। আবার এই সমস্ত ছেলেমেয়েদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। তা নাহলে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের প্রায় ২০ কিমি দূরে গিয়ে পড়াশোনা করতে হবে। অন্যদিকে, এব্যাপারে এদিন কলেজের অধ্যক্ষ কুমারেশ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ছাত্রছাত্রীদের দাবী যথেষ্টই ন্যায়সঙ্গত। কিন্তু এই দাবী জানানোর একটি পদ্ধতি আছে। তিনি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কলেজের ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে তাঁকে এব্যাপারে কোনো কিছুই জা্নানো হয়নি। তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে এব্যাপারে লিখিত জানালে তিনি তা কলেজের পরিচালন সমিতিতে আলোচনায় তুলবেন।