বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- অশান্ত বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম ঘোষণা হতেই খুশির হাওয়া তাঁর শ্বশুরবাড়ি বর্ধমানের লস্করদিঘী পশ্চিমপাড়ে। বর্তমান বাংলাদেশের যে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তাকে সামাল দিতে পারবেন নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার এমনটাই আশা ব্যক্ত করলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার লস্করদিঘী এলাকার বাসিন্দা থেকে খোদ মুহাম্মদ ইউনূসের ছোট শ্যালক আসফাক হোসেন ওরফে বাবু মিঞা। এই এলাকার বাসিন্দা সামিনুর রহিম ওরফে সেনা জানিয়েছেন, এটা অবশ্যই গর্বের যে তাঁদের পাড়ার জামাই এখন বাংলাদেশের অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। সামিনুর রহিম জানিয়েছেন, উনি যখন এসেছিলেন তাঁর সঙ্গে দেখা করে কথা হয়েছিল। অবশ্যই তাঁরা চান ইউনূস সাহেব বাংলাদেশে শান্তি ফিরিয়ে আনুক। তাঁরা চান এরই পাশাপাশি তিনি আবার ঘুরে যান তাঁর শ্বশুরবাড়ি। বুধবার লস্করদিঘীর বাড়িতে বসে বাবু মিঞা জানিয়েছেন, এই খবরে তাঁরা খুশী। আমরা চাই উনি ভালো কাজ করুন এবং ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের আরো উন্নত হোক। তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশের ভিসা নিয়ে একটা জটিলতা রয়েছে। কাস্টমস বিভাগও হয়রানি করে। তাঁরা চান, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বের ভিসাটা যাতে সহজ করা হয়। এটা বিশেষ দরকার। অনেক সময় লাগে। স্পট ভিসা হলে ভাল হয়। তাঁরা চান, দুই সরকার মিলে এটার যাতে সমাধান করুক। বাবু মিঞা জানিয়েছেন, ইউনূস সাহেবকে এই পদে বসানোয় ভালোই হয়েছে। এখন দেখা যাক কী হয়। আশা করি উনি ভালো কাজ করবেন। ওনার বুদ্ধি ভালো। আশাকরি দুদেশের সম্পর্ক আরও ভালো হবে। তবে বাবু মিঞা জানিয়েছেন, এই খবর পাওয়ার পর এখনও তাঁদের এই জামাইয়ের সঙ্গে কথা হয়নি। কথা হলে শুভেচ্ছার পাশাপাশি তাঁকে একবার বর্ধমান ঘুরে যাবার জন্য আমন্ত্রণ জানাবেন। প্রসঙ্গত, তিনি জানিয়েছেন, ২০০৬ সালে নোবেল পাওয়ার আগে এসেছিলেন। নোবেল পাওয়ার পরও এসেছিলেন। উল্লেখ্য, মুহাম্মদ ইউনূসের দ্বিতীয় স্ত্রী আফরোজী ইউনূসের বাপের বাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান শহরের এই লস্করদিঘীতে। ১৯৮৩ সালে আফরোজীকে বিয়ে করেন ইউনূস। আফরোজী বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল গার্লস হাইস্কুল থেকে পড়াশোনা করেছেন। মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। এদিন বাবু মিঞা জানিয়েছেন, তাঁর জামাইবাবু শেষ যেবার বর্ধমান থেকে ফিরে যাচ্ছিলেন তিনি প্রথম শ্রেণীর টিকিট কেটে দিতে চাইছিলেন। কিন্তু মুহাম্মদ ইউনূস প্রথম শ্রেণীর টিকিট কাটতে দেননি। তিনি জানিয়েছেন, দিদি যখন বাংলাদেশে চলে যান তখন তাঁর জন্মই হয়নি। প্রসঙ্গত, বাবু মিঞা জানিয়েছেন, তাঁদের জামাই শুঁটকি মাছ খেতে ভালো বাসেন। বর্তমান বাংলাদেশের এই পরিস্থিতি তিনি সুন্দরভাবেই মোকাবিলা করবেন বলে তাঁরা আশা করেন। উল্লেখ্য, বর্তমানে ইউনূস সাহেবের এই শ্বশুরবাড়ির চেহারার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। তিনি যখন এই বাড়িতে শেষবার এসেছিলেন তারপরে প্রয়োজনের তাগিদে অনেক পরিবর্তন হয়েছে বাড়ির।