জামালপুর (পূর্ব বর্ধমান) :- বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্ধমানে পদযাত্রা করার পর পুলিশ লাইন মাঠ থেকে হেলিকপ্টারে চড়েন। সেই সময় পুলিশ লাইনে পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপারের সাথে দরজা বন্ধ করে ভোট লুটের পরিকল্পনা করেছেন বলে অভিযোগ করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তিনি অভিযোগ করেছেন, বর্ধমানের পুলিশসুপারের সাথে রিগিং-এর পরিকল্পা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কাছে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানানোহয়েছে । তদন্তের দাবী জানানো হয়েছে। শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে বর্ধমান পূর্বের বিজেপি প্রাথীর প্রচারে এসে এভাবেই তৃণমুলের বিরুদ্ধে কড়া বক্তব্য রেখে গেলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। যদিও এই অভিযোগের বিষয়ে পুলিশসুপারের কোনও বক্তব্য না পাওয়া গেলেও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, মুকুল রায়ের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। হারবে জেনে আগে থেকে এসব প্রচার করে রাখছেন। সম্পূর্ণ নিয়ম মেনে একজন মুখ্যমন্ত্রীর সফরে যেভাবে পুলিসুপারকে থাকতে হয় সেই ভাবেই ছিলেন। পুলিশ সুপার দূরত্ব বজায় রেখেই ছিলেন। এদিন জামালপুরের পাশাপাশি মুকুল রায় মন্তেশ্বর, ভাতারেও সভা করেন। তিনি এদিন বলেন,বাংলায় ২০১৯ সালে পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস একটা আসনেও প্রার্থীই দিতে দেয়নি, ভোটও করতে দেয়নি। উপনির্বাচনে মদন মিত্রের ভাটপাড়ায় দাঁড়ানো প্রসঙ্গে বলেন, ভাটপাড়া বিধানসভা উপ-নির্বাচনে যেই দাঁড়াক, বিজেপি-ই জিতবে। ২০১৯ সালের নভেম্বরের মধ্যেই বাংলায় বিজেপি সরকার গড়বে। এই নির্বাচনে মানুষের যা স্রোত তাতে বিজেপি কত আসন পাবে তার ঠিক ঠিকানা নেই। মুকুল এদিন দাবী করেন, তাঁর সংগে ১৩০ জন বিধায়ক যোগাযোগ রেখেছেন। যারা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর টপাটপ বিজেপি-তে যোগ দেবেন। তিনি বলেন, মমতার মাথা খারাপ হয়ে যাবে। সার্কাসে বাঘ-সিংহের খেলার মাঝে বিনোদনের জন্য জোকার থাকে, এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই কাজ করছেন।