রাজ্যের সমস্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা হচ্ছে এক মাসের মধ্যে
admin
বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- আগে গ্রামের মানুষ তথা গ্রামের মহিলাদের ঠকানো হত। তাই স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার। বিশেষ করে বাংলার তন্তুবায়দের জন্য সরকার তন্তুবায় স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরী করার উদ্যোগ নিয়েছে। তাদের সহজ শর্তে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে যাতে ভালভাবে ব্যবসা করতে পারে তারজন্য সমবায় ব্যাঙ্ক এগিয়ে এসেছে। এরই পাশাপাশি আগামী এক মাসের মধ্যে গোটা রাজ্যের সমস্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে রাজ্য সরকারের এসএইচজি পোর্টালের অন্তভূর্ক্ত করা হচ্ছে। মঙ্গলবার বর্ধমানের কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের ৪০তম শাখার উদ্বোধন করতে এসে একথা জানালেন রাজ্যের সমবায় দপ্তরের মন্ত্রী অরূপ রায়। এদিন বর্ধমান শহরের নবাবহাট বাসস্ট্যাণ্ডে এই শাখার উদ্বোধন করতে এসে সমবায় মন্ত্রী জানান, এখন গ্রামে গ্রামে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক কিংবা সমবায় ব্যাঙ্কের শাখা খোলা হয়েছে। যাতে গ্রামের মানুষও ব্যাঙ্কের সমস্ত সুবিধা পেতে পারেন। তিনি এদিন জানিয়েছেন, গোটা রাজ্যে প্রায় ২৫ হাজার সমবায় সমিতি বেড়েছে। এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সমবায় মন্ত্রী জানিয়েছেন, বিগত বাম আমলে সমবায়ের নামে যে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে সেই সমস্ত দুর্নীতির তদন্ত করছে আলাদা একটি বিভাগ। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি জেলায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বর্ধমান কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে নির্বাচিত কোনো বোর্ড না থাকার প্রশ্নে অরূপবাবু জানিয়েছেন, সমবায়ের নির্বাচনটি পরিচালিত হয় পৃথক স্বশাসিত একটি নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। সেক্ষেত্রে বর্ধমান কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কেও যথা শীঘ্রই নির্বাচিত বোর্ড তৈরী হবে। অন্যদিকে, সম্প্রতি রেশন ডিলাররা সরকারী সহায়ক মূল্যে ধান কেনার ব্যাপারে আগ্রহী হওয়ায় এদিন অরূপবাবু জানিয়েছেন, রেশন ডিলাররা যদি সমবায়ভুক্ত হয়ে ধান কেনার কাজে এগিয়ে আসে তাহলে তাঁদের স্বাগত জানানো হবে। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্য সরকারের সমবায় নিবন্ধক পি মোহন গান্ধী জানিয়েছেন, এতদিন কেবলমাত্র পঞ্চায়েত এবং গ্রামীণ উন্নয়ন দপ্তরের অধীন যে সমস্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি ছিল তাঁরাই কেবল বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পেত। কিন্তু এর বাইরেও বন, মত্স্য সহ একাধিক বিষয়ে বহু স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, সম্প্রতি এব্যাপারে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। আর সেই বৈঠকের পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের এসএইচজি দপ্তর আগামী ১ মাসের মধ্যে রাজ্যের সমস্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে লিপিবদ্ধ করবে তাদের পোর্টালে। এর ফলে সমস্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীই সরকারী সবরকমের সুযোগ সুবিধা পাবে। অন্যান্যদের মধ্যে এদিন এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, জেলাশাসক বিজয় ভারতী, কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের মুখ্য নির্বাহী আধিকারিক অসীম চট্টোপাধ্যায়, স্পেশাল অফিসার মনসিজ মুখোপাধ্যায়, ব্যাঙ্কের অফিসার্স এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অমিত রজক প্রমুখরাও।