E Purba Bardhaman

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ায় উদ্বিগ্ন নবান্ন, পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশের নির্দেশ

Nabanna worried over Chief Minister Mamata Banerjee's security breach, orders to submit full report

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ায় উদ্বিগ্ন নবান্ন। দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হলো এসপিকে। এছাড়াও নবান্নর তরফে নতুন করে নির্দেশ জারি করা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে কোনো অফিসারের গাড়ি ঢুকবে না। এদিকে নবান্ন তৎপর হতেই তৎপরতা বেড়েছে জেলা পুলিশের। ইতোমধ্যেই তদন্তের স্বার্থে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যে কমিটি কোথায় গাফিলতি ছিল তা খতিয়ে দেখবে। এদিকে ইতোমধ্যেই ঘটনার সময়কার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির সামনে দিয়ে হঠাৎ করে নীল বাতি লাগানো সাদা রঙের একটি গাড়ি জিটি রোড দিয়ে কনভয়কে ‘ওভারটেক’ করার মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির চালক জোরে ব্রেক কষেন। গাড়িটি দাঁড়িয়ে যেতেই ওই গাড়িটি জোরে বেরিয়ে যায়। দেখা যায়, মুখ্যমন্ত্রী বাঁ হাত দিয়ে মাথা চেপে ধরে রয়েছেন। তারপরে ড্যাশবোর্ডে থাকা টিসু পেপার নিয়ে মাথায় দিচ্ছেন। মিনিট খানেকের মধ্যে তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে যান।
ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় ব্যবসায়ী মঞ্জুর আলম, নুরুল ইসলামরা দাবি করেন, “মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি কলকাতামুখী ছিল। কনভয়ের সামনে দিয়ে উলটো দিক থেকে একটি গাড়ি দুর্গাপুরের দিকে চলে যায়। গাড়িটিতে বেশ গতি ছিল। সে জন্যে পাইলট গাড়ি দাঁড়িয়ে যেতেই মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির চালকও জোরে ব্রেক কষেন। মুখ্যমন্ত্রী সামনের দিকে ঝুঁকে গেলে মাথায় লেগেছে।” ওই সব রাস্তা দিয়ে নিয়মিত যাতায়াতকারী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, “বেপরোয়া গাড়ি-ট্রাক চলাচলের শিকার হলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। আশা করব, পুলিশ এবার বেপরোয়া গাড়ি-ট্রাক আটকাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেবে।” জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেপরোয়া গাড়ি চলাচলের জন্যে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অনেকগুলি নতুন পদ তৈরি হয়েছে। ছোট ছোট দলে ট্র্যাফিক ইন্সপেক্টর বা ওসিরা বিভক্ত হয়ে যান নিয়ন্ত্রণ করছেন। প্রয়োজন মতো ‘নাকা’ও করা হচ্ছে। এ ছাড়াও দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ‘সমন্বয়’ বৈঠক হচ্ছে। পুলিশের দাবি, ছ’লেনের কাজের জন্যে অনেক জায়গাতেই রাস্তা সংকুচিত হয়ে পরেছে। গাড়ি এগোচ্ছে না। কিন্তু একটু চওড়া রাস্তা পেলেই গাড়ির গতিবেগ ঊর্দ্ধমুখী হয়ে পরছে। ফলে নানা জায়গাতে দুর্ঘটনা ঘটছে।

Exit mobile version