গণেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- নিষিদ্ধ মাদক দ্রব্য ফেনসিডিলের বস্তাবোঝাই একটি অটো বাজেয়াপ্ত করেছে নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। মাদক দ্রব্য পাচারের অভিযোগে অটোর চালক শেখ আমেদ আলিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেওয়ানদিঘি থানার আলমপুরে তার বাড়ি। অটো থেকে ২২ বস্তা ফেনসিডিলের বোতল মেলে। মোট ৫ হাজার ৫৭৫ বোতল ফেনসিডিল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রত্যেকটি বোতলে ১০০ মিলিলিটার ফেনসিডিল রয়েছে। বাজেয়াপ্ত হওয়া ফেনসিডিলের মূল্য প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা বলে এনসিবির দাবি। শুক্রবার ধৃতকে বর্ধমানের মাদক সংক্রান্ত বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়। আরও ফেনসিডিল উদ্ধার করতে এবং মাদকের কারবারে জড়িত গ্যাংয়ের হদিশ পেতে ধৃতকে ৫ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানান এনসিবির তদন্তকারী অফিসার কৃষ্ণকুমার গুপ্তা। ধৃতের আইনজীবী স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় আবেদনে এনসিবির উচ্চ পদাধিকারীর সই না থাকার কথা বলে ধৃতকে হেফাজতে নেওয়ার বিরোধিতা করেন। বিষয়টি আইন বিরুদ্ধ বলে জানান তিনি। যদিও এনসিবির আইনজীবী অরিন্দম মুখোপাধ্যায় আরও ফেনসিডিল উদ্ধারের সম্ভাবনা ও র্যাকেটের হদিশ পাওয়ার কথা বলে হেফাজতের পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন। দু’পক্ষের সওয়াল শুনে ধৃতকে ৪ দিন এনসিবি হেফাজতে পাঠানোর নিের্দশ দেন বিশেষ আদালতের বিচারক বিশ্বরূপ শেঠ।
এনসিবি জানিয়েছে, একটি অটোয় করে প্রচুর পরিমাণ ফেনসিডিল তালিত এলাকা থেকে পাচার করা হবে বলে বৃহস্পতিবার বিকেলে খবর মেলে। সেইমতো এনসিবির গোয়েন্দারা তালিতে পৌঁছে যান। শুক্রবার সকালে ফাগুপুর মোড়ের কাছে একটি বস্তাবোঝাই অটো দেখতে পেয়ে এনসিবির গোয়েন্দারা চালককে সেটি থামাতে বলেন। তল্লাশিতে অটো থেকে ২২টি বস্তায় ফেনসিডিল মেলে। চালক ফেনসিডিলের বৈধ কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারেনি বলে এনসিবির দাবি। এক ট্রান্সপোর্ট মালিকের নিের্দশমতো ফেনসিডিল অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে অটো চালক এনসিবির গোয়েন্দাদের জানায়। এরপরই সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়। মাদক আইনে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে অটো চালককে গ্রেপ্তার করা হয়। এনসিবির আইনজীবী বলেন, ফেনসিডিল পাচারের একটি বড়সড় চক্র এতে জড়িত। ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে ফেনসিডিলের উৎস এবং কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা জানার চেষ্টা করা হবে। ফেনসিডিলের কারবারে কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা করা হবে।