E Purba Bardhaman

মেলা খেলা পছন্দ না হলে বাংলা ছেড়ে চলে যান, নীলপুর যুব উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বললেন দেবু টুডু

'Nilpur Yuba Utsavl' was inaugurated in Burdwan on Sunday.

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- গোটা বাংলায় মেলার মরশুম চলছে। বারো মাসে তেরো পার্বণ কথাটা ভুলে গেছিল বাঙালীরা। দমন, পীড়ন, শোষণ ছাড়া এই পার্বণগুলো ভুলে গেছিল মানুষ। আনন্দ করতে ভুলে গেছিল সাধারণ মানুষ। সরকার থেকে বেসরকারী উদ্যোগে এখন মেলা হচ্ছে। কেউ কেউ এনিয়ে কটাক্ষ করছে। কিন্তু যাঁরা বাংলায় এটা পছন্দ করছেন না, তাঁদের বলি বাংলা ছেড়ে চলে যান অন্য জায়গায় যেখানে মেলা, খেলা হয় না। রবিবার বর্ধমানের নীলপুর যুব উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাম না করেই ফের বিজেপিকে খোঁচা দিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি দেবু টুডু। তিনি এদিন বলেন, আগামী ১২ জানুয়ারী গোটা রাজ্য জুড়ে বিবেকানন্দের জন্মদিবস পালন করা হবে যুব দিবস হিসাবে। কিন্তু বর্ধমানের নীলপুর যুব উৎসবের মধ্যে দিয়ে মেলার উদ্যোক্তা বর্ধমান পুরসভার ১৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার রাসবিহারী হালদার অনেক আগেই শুরু করে দিয়েছেন এই যুব উৎসব। দেবু টুডু এদিন বলেন, গোটা রাজ্য জুড়ে উন্নয়ন চলছে। অনেকের তা পছন্দ হচ্ছে না। তিনি এদিন বলেন, স্বামী বিবেকানন্দ বলে গেছেন দাগ রেখে যেতে। কিন্তু সেই দাগ কোনো কালো দাগ নয়। দাগ মানে এমন ভাল কাজ যা আজীবন মানুষ মনে রাখবেন। উল্লেখ্য, নীলপুরে এই প্রথম এই ধরণের কোনো উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেলার উদ্যোক্তা তৃণমূল কাউন্সিলার রাসবিহারী হালদার জানিয়েছেন, ১২ জানুয়ারী পর্যন্ত চলবে এই মেলা। এই মেলার সঙ্গে বর্ধমানে প্রথম আয়োজন করা হয়েছে বাহারে আহারে খাদ্যমেলা। থাকছে প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রবিবার রাতে এই উৎসবে আসেন বাংলাদেশের শিল্পী এফ এ সুমন। সোমবার আসছেন শ্রাবন্তী চ্যাটার্জ্জী এবং তাঁর মিউজিক্যাল ট্রুপ, মঙ্গলবার আসছেন প্রসেনজিত চ্যাটার্জ্জী এবং মিউজিক্যাল ট্রুপ, বুধবার আসছেন শিল্পী নচিকেতা এবং হিন্দি ব্যাণ্ড এম সোনিক। বৃহস্পতিবার উৎসবের শেষ দিনে হাজির থাকবেন অভিনেত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ। রবিবার নীলপুর যুব উৎসবের এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে হাজির ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, বিডিএ-র চেয়ারম্যান কাকলী তা গুপ্ত, বিধায়ক খোকন দাস, অভেদানন্দ থাণ্ডার, নিশীথ মালিক-সহ বর্ধমান পুরসভার এক ঝাঁক কাউন্সিলাররা। এদিন মেলা শুরুর আগে কার্জন গেট থেকে মেলার মাঠ পর্যন্ত একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাও অনুষ্ঠিত হয়।

Exit mobile version