বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- চলতি বছরে বর্ধমান শহরে আরও একটি নতুন উৎসবের সূচনা হচ্ছে আগামী ৮ জানুয়ারী থেকে ১২ জানুয়ারী। নীলপুর যুব উৎসব -২০২৩ নামে এই উৎসবের মূল উদ্যোক্তা বর্ধমান পুরসভার ১৪ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলার তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি রাসবিহারী হালদার। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে রাসবিহারী হালদার জানিয়েছেন, অনেক দিন ধরেই নীলপুর এলাকার মানুষ এই এলাকায় একটি উৎসব আয়োজনের জন্য চেষ্টা করছিলেন। এতদিনে তা সার্থক হতে চলেছে। আগামী ৮ জানুয়ারী এই নীলপুর যুব উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক, স্বপন দেবনাথ ও সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। প্রতিদিন দুপুর ১২ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত চলবে এই উৎসব। রাসবিহারী জানিয়েছেন, যেহেতু যুব উৎসব তাই যুবদের জন্য এই ৫ দিন ধরেই নানান বিষয় আয়োজন করা হয়েছে। যুবদের জন্য নানান সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পাশাপাশি ছোটদের জন্যও থাকছে বিভিন্ন বয়সের নানান সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। এছাড়াও থাকছে সঙ্গীত ও নাচের অনুষ্ঠান। প্রতিদিন রাত্রে এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দিনে হাজির থাকবেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জ্জী ও মিউজিক্যাল ট্রুপ, প্রসেনজিত চ্যাটার্জ্জী ও মিউজিক্যাল ট্রুপ, নচিকেতা, হিন্দি ব্যাণ্ড এম সোনিক, রাজ বর্মণ, বাংলাদেশের এফ. এ. সুমন, অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ প্রমুখরা। উৎসবে থাকছে প্রায় ৩০টি স্টল। থাকছে “বাহারে আহারে খাদ্য মেলা”।
সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত “বাহারে আহারে ফুড ফেস্টিভ্যাল”-এর পক্ষে সৌমিতা গাঙ্গুলি এবং অরুণাভ চ্যাটার্জি জানিয়েছেন, তাঁদের এই “বাহারে আহারে খাদ্য মেলা” ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় হয়েছে। এই জেলায় এই প্রথম তাঁদের “বাহারে আহারে খাদ্য মেলা”-র ১০ম পর্ব নিয়ে নীলপুর যুব উৎসবে তাঁরা উপস্থিত থাকছেন। সৌমিতা গাঙ্গুলি এবং অরুণাভ চ্যাটার্জি জানিয়েছেন, বর্ধমানে থেকে অনেক খাবার পাওয়া যায় না, অথবা দূরে গিয়ে সেইসব খাবার খেতে হয়। বর্ধমানে তাঁদের খাদ্য মেলায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের খাদ্য ব্যবসায়ীরা সেই সমস্ত খবার নিয়ে হাজির থাকবেন। থাকবে ব্যারাকপুরের ‘দাদা বৌদি’-র বিরিয়ানি, ভীম নাগ পরিবারের মিষ্টি, হট লেমনিজ ফুড, কাঁচরাপাড়ার “শিকদার জুস অ্যান্ড মকটেল”, স্মোকি মকটেল, ৩০ রকম মাছ ভাজা, বিভিন্ন ধরণের বিরিয়ানি, কাবাব, চাইনিজ, চমকপ্রদ আইসক্রিম, তুর্কি আইসক্রিম, আইস পান, ফায়ার পান, স্মোক বিস্কুট-সহ বিভিন্ন খবারের স্টল।
রাসবিহারী জানিয়েছেন, ৯ জানুয়ারী নীলপুর অঞ্চলের মোট ৮০টি ক্লাবকে দেওয়া হবে ফুটবল, ১১ জানুয়ারী দেওয়া হবে এলাকার বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের হুইল চেয়ারও। উল্লেখ্য, সম্প্রতি গোটা বর্ধমান শহর এবং শহর লাগোয়া কয়েকটি এলাকায় তৃণমূল নেতাদের উদ্যোগে শুরু হয়েছে বিভিন্ন উৎসব ও মেলা। বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসের উদ্যোগে কয়েকবছর ধরেই চলছে মেগা ‘কাঞ্চন উৎসব’। বর্তমান পুরসভার পুরপিতা পরেশ সরকারের উদ্যোগে কয়েকবছর ধরে চলছে মাঘ উৎসব। আর এক কাউন্সিলার প্রদীপ রহমানের উদ্যোগে শুরু হয়েছে বাঁকা উৎসবও। বর্ধমান পুরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলার নুরুল আলমে ওরফে সাহেবের উদ্যোগেও চলছে কয়েকবছর ধরে বাজেপ্রতাপপুরে ‘পৌষালী মেলা’। এছাড়াও জেলা পরিষদ সদস্য নুরুল হাসানের উদ্যোগে ‘উত্তর বর্ধমান উৎসব’ কিংবা বর্ধমান উত্তর বিধানসভার বিধায়ক নিশীথ মালিকের উদ্যোগে হাটগোবিন্দপুর উৎসবও চলছে রমরমিয়ে। তারই সঙ্গে এবার যুক্ত হল নীলপুর যুব উৎসব।