E Purba Bardhaman

১০০ শতাংশ ভোট কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে ভোটকর্মীদের বিক্ষোভ, রাস্তা অবরোধ

No Central Force No Duty - On the demand of security for the Central Forces at every booth, the polling personnel agitation & blocked the G T Road. At Burdwan

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- প্রতিটি বুথের পোলিং পার্সোনাল বা ভোট কর্মীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী না দিলে ভোটের জন্য প্রয়োজনীয় ইভিএম সহ কোনো কিছুই তাঁরা গ্রহণ করবেন না। শুক্রবার বর্ধমানে ভোট কর্মীদের নিরাপত্তায় আধা সামরিক বাহিনী দেবার দাবীতে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখালেন শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের সদস্যরা। শুক্রবার ছিল পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান-দুর্গাপুর এবং বর্ধমান পূর্ব দুটি লোকসভা আসনের তৃতীয় অর্থাৎ শেষ দফার ভোট কর্মীদের ট্রেনিং। কিন্তু এই ট্রেনিং এর শুরুতেই বিক্ষোভ দেখান ভোট কর্মীদের একাংশ। ভোট কেন্দ্রে ১০০ শতাংশ কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে শুক্রবার সকাল থেকে ভোট কর্মীদের বিক্ষোভে উত্তাল হল বর্ধমান শহর। এদিন শহরের মিউনিসিপ্যাল স্কুলের সামনে জিটিরোড অবরোধ করে দেন কয়েকশো ভোটকর্মী। সৃষ্টি হয় ব্যাপক যানজট। এদিন ভোট কর্মীদের দাবি ছিল জেলা নির্বাচন আধিকারিককে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে সমস্ত বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করার। অবরোধকারীরা দাবী জানানজেলার রিটার্নিং অফিসার তথা জেলাশাসককে এখানে এসেই এই প্রতিশ্রুতির কথা জানাতে হবেঅন্যথায় অবরোধ তোলা হবেনা। অবরোধের খবর পেয়ে পরে বর্ধমান থানা থেকে পুলিশ আসলেও প্রথমে বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা। ঘন্টাখানেক পর জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ ওঠে। এরপর বিক্ষোভকারী ভোটকর্মীদের একটি প্রতিনিধি দল জেলাশাসকের দপ্তরে পৌঁছান স্মারকলিপি জমা করার উদ্দেশ্যে। যদিও জেলাশাসক উপস্থিত না থাকায় অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা)-র কাছে তাদের দাবি দাওয়া সম্বলিত স্মারকলিপি জমা দেন। বিক্ষোভকারীরা এদিন জানিয়েছেনজেলা প্রশাসন জানিয়েছেনপূর্ব বর্ধমান জেলায় দুটি লোকসভা আসনে মাত্র ২০ শতাংশ বুথ উত্তেজনাপ্রবণ। কিন্তু পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং সদ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট কর্মী হিসাবে কাজ করতে গিয়ে তাঁরা দেখেছেন গোটা জেলার সমস্ত বুথই কার্যত উত্তেজনা প্রবণ। আসলে সত্যটাকে প্রশাসন আড়াল করতে চাইছে। এদিন আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেনতাঁরা চান ১০০ শতাংশ বুথেই ভোটকর্মীদের সঙ্গে আধা সামরিকবাহিনী চান। তা নাহলে তাঁরা ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। তাঁরা জানিয়েছেনএদিন অতিরিক্ত জেলাশাসক তাঁদের জানিয়েছেনগোটা বিষয়টি নিয়ে তাঁরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলছেন। তিনদিন পরে তাঁরা বিষয়টি জানাতে পারবেন। একইসঙ্গে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেনঅতিরিক্ত জেলাশাসক জানিয়েছেন৯০ শতাংশ বুথেই আধা সামরিকবাহিনী থাকবে। কিন্তু ভোটকর্মীরা চান ডিসিআরসি থেকেই তাঁদের সঙ্গে আধা সামরিকবাহিনীকে দিতে হবে। এ ব্যাপারে এদিন জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেনএদিন তৃতীয় দফার প্রশিক্ষণে উপস্থিতি ভালই ছিল। তবে যাঁরা আন্দোলন করেছেন তাঁরা উপস্থিতির খাতায় সই করেছেন বলে তিনি জানতে পেরেছেন। কয়েকজন আন্দোলন শেষে কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরে এসে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। জেলাশাসক জানিয়েছেনআন্দোলনকারীদের দাবী দাওয়ার বিষয়ে আগেই নির্বাচন দপ্তর জানিয়েছেনপর্যাপ্ত সিকিউরিটির ব্যবস্থা থাকবে ভোটকর্মীদের সঙ্গে। কিন্তু তা আধা সামরিকবাহিনী থাকবে কিনা সে সম্পর্কে এখনও জেলায় কোনো নির্দেশ আসেনি।

Exit mobile version