বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- তরমুজ আর বেল কিনেছি, কার মাথায় ভাঙবো খুঁজছি। বুধবার সকালে বর্ধমান শহরের ৩১ নং ওয়ার্ডের তেঁতুলতলা বাজার এলাকায় প্রাতঃভ্রমণে বেড়িয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ কিনলেন তরমুজ আর পাকা বেল। জানালেন, গরমে তরমুজ আর বেল ভাল। কিন্তু কার মাথায় বেল ভাঙবো সেটাই খুঁজছি। মঙ্গলবার রাতে বর্ধমান শহরে ভাল বৃষ্টি হওয়ায় এদিন সকালে ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়া ছিল। কার্যত বিজেপির এই লড়াকু নেতাও ছিল খোশ মেজাজে। জানালেন, আজ বর্ধমানের ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল, চারিদিকে পদ্মফুল। ভোট ঠিকই হচ্ছে কোথাও কোথাও গন্ডগোল করার চেষ্টা করেছে। মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়েছে। বাকি জায়গাগুলোতেও তাই হবে। যারা গন্ডগোল করার চেষ্টা করছে কিছু সুবিধা করতে পারবে না। মঙ্গলবার চার কেন্দ্রের ভোট নিয়েও তিনি বলেন, ভোট ভালোই হয়েছে, একটুআধটু গন্ডগোল হবে, তাতে ভোট প্রভাবিত হয় না। এসএসসি নিয়ে মঙ্গলবার সুপ্রিম রায় সম্পর্কে দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, দেখুন এটা সবাই জানে চুরি হয়েছে, দু-নম্বরি হয়েছে, তার সমাধান হওয়া উচিত। যোগ্য লোকেরা চাকরি পাক। এসএসসি বলেছিল, আমরা বাছ-বিচার করতে পারবো না। আমাদের কাছে রেকর্ড নেই। আর প্রধানমন্ত্রী এসে বললেন ন্যায্য চাকরি প্রার্থীদের পাশে দাঁড়াবো, কোর্টে যাব, অমনি দু’ঘণ্টার মধ্যে বলল আমরাও ঠিক করে দেব। সেজন্য এটাও ঠিক যে ঝুলিয়ে রেখে লোকে সুবিচার পাবে না। সুপ্রিম কোর্টের নজর আছে, তাড়াতাড়ি হেয়ারিং করে কাজ করতে হবে, তাড়াতাড়ি তাদেরকে সমস্ত রেকর্ড দিতে বলেছে। ১২ মে জগদ্দলে প্রধানমন্ত্রীর জনসভার মাঠকে ট্রাক্টর দিয়ে চষে দেওয়ার ঘটনা নিয়ে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, এটা প্রথমবার হয়নি। বীরভূমের কেষ্ট থাকাকালীন আমাদের পারমিশন দিত না। পুলিশ পারমিশন দিলেও রাতের বেলা মেশিন চালিয়ে মাঠে জল ভরে দেওয়া হয়েছে। এতে কার সুবিধা হবে? যদি কেউ মনে করে রাজনৈতিক লাভ হবে – সাধারণ মানুষ কিন্তু সব দেখছে। প্রথম দু-দফার ভোট নিয়ে ইন্ডিয়া জোটের পক্ষ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং খাড়গে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন।