E Purba Bardhaman

রাজসাক্ষী হতে চাওয়ায় কোষাগার কাণ্ডে ধৃতকে সংশোধনাগারের পৃথক সেলে রাখার নির্দেশ দিলেন বিচারক

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- কোষাগার কাণ্ডে ধৃত বাপন কর্মকার রাজসাক্ষী হল। শুক্রবার তাকে বর্ধমান সংশোধনাগার থেকে আদালতে পেশ করা হয়। গোপন জবানবন্দি নথিভূক্ত করানোর জন্য তৃতীয় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বাপনকে নিয়ে যাওয়া হয়। সে গোপন জবানবন্দি দিতে চায় কিনা তা তার কাছে জানতে চান বিচারক। বাপন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছেও জবানবন্দি দেওয়ার কথা জানায়। এরপরই তার রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন মঞ্জুর হয়। তাকে সংশোধনাগারে পৃথক সেলে রাখার জন্য জেল সুপারকে নির্দেশ দেন তৃতীয় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অমর্ত্য চক্রবর্তী। শনিবার তাকে ফের আদালতে পেশ করা হবে। রাজসাক্ষী হিসাবে ঘটনার বিষয়ে সে কি জানে তা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জানাবে বাপন। বাপনকে রাজসাক্ষী করতে পারাকে সাফল্য হিসাবে দেখছে পুলিশ। ঘটনার কোনও প্রত্যক্ষদর্শী ছিল না। স্বাভাবিকভাবেই সরকারি কোষাগার ভবন থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা চুরির ঘটনায় আগেই মুখ পুড়েছে পুলিশের। তার উপর চুরির বেশিরভাগ টাকাই এখনও পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি। এরপর সাক্ষীর অভাবে অভিযুক্তরা ছাড়া পেলে পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ত। তাই, বাপন রাজসাক্ষী হওয়ায় স্বস্তিতে পুলিশ। যদিও আইনজীবী পীযূষরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় চাপ সৃষ্টি করে বাপনকে রাজসাক্ষী করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। এমনকি পুলিশি হেপাজতে থাকা অবস্থায় বাপনের উপর মানসিক নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ধৃতের আইনজীবী। পুলিশ জানিয়েছে, গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর বর্ধমানের মুখ্য ডাকঘর থেকে ১ কোটি ১৯ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা কোষাগার ভবনের আয়রন চেস্টে রাখা হয়। ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে চেস্ট খুলে ৫৫ লক্ষ ১০ হাজার টাকা চুরির বিষয়টি জানতে পারেন ডাকঘরের অফিসাররা। ডাকঘরের তরফে ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জেলা পুলিশের কনস্টেবল সুরজিৎ সিংমুড়া, তার দিদি অন্নপূর্ণামণ্ডল, ভাগ্নে বাবাই দে, সুপ্রিয় মালিক ও গোপীকৃষ্ণ দে-কে গ্রেপ্তার করে। সুরজিৎ এসপি অফিসের নিরাপত্তা রক্ষী ছিল। ধৃতদের সকলেরই বাড়ি বাঁকুড়া কোতুলপুর থানা এলাকায়। ধৃতদের কাছ থেকে কয়েক দফায় ৪ লক্ষ ৩৮ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার হয়েছে। দিনকয়েক আগে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ বাপনকে গ্রেপ্তার করে। তাকে হেপাজতে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। তবে, তার কাছ থেকে কোনও টাকা উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

Exit mobile version