E Purba Bardhaman

শাসকদলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে রায়নার যুবক খুনের ঘটনায় ধৃত আরও ১

ফাইলচিত্র ~ আনিসুর মল্লিক

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- রায়না থানার জ্যোৎসাদি গ্রামে তৃণমূলের পার্টি অফিসের সামনে বোমাবাজিতে আনিসুর মল্লিকের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিস আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতের নাম শেখ সালেক ওরফে সওদাগর। রায়না থানার বনতির গ্রামে তার বাড়ি। বর্তমানে সে বর্ধমান শহরের তেলিপুকুর এলাকায় থাকে। সওদাগর হিজলনা পঞ্চায়েতে বিদায়ী নির্দল সদস্য। শাসক দলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি। মঙ্গলবার বিকালে তেলিপুকুর এলাকা থেকে পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করে। বুধবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতকে ১০ দিন নিজেদের হেপাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিস। জামিনের সওয়ালে ধৃতের আইনজীবী বলেন, তার মক্কেলকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। ঘটনায় সে আদৌ জড়িত নয়। সরকারি আইনজীবী নারদকুমার ভূঁইঞা পুলিসি হেপাজতের পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন। দু’পক্ষের সওয়াল শুনে ধৃতকে ৭ দিন পুলিসি হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন সিজেএম রতন কুমার গুপ্তা।
পুলিস জানিয়েছে, জোরে বাইক চালানোকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের গণ্ডগোল থামাতে জ্যোৎসাদি গ্রামে আলোচনা সভা বসে। আলোচনা সভায় দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র বচসা বাধে। মতানৈক্য না হওয়ায় আলোচন সভা ভেস্তে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে বোমাবাজি শুরু হয়। সেই সময় সেখান দিয়ে ওষুধ কিনতে যাচ্ছিলেন আনিসুর। বোমার ঘায়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। মৃতের দাদা আজিজ মল্লিক ২৮ জনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর আগে পুলিস ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারমধ্যে ৫ জন পুলিসি হেপাজতে রয়েছে। ঘটনায় সওদাগরের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে তার পরিবার। পরিবারের দাবি, এর আগে মাদক মামলায় অন্যায়ভাবে ফাঁসানো হয়েছিল সওদাগরকে। এই মামলাতেও তাকে অন্যায়ভাবে ফাঁসানো হয়েছে।

Exit mobile version