বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- হাওড়ার লিলুয়ার পরিবহণ ব্যবসায়ী কুন্দন মহারাজ (২৪)-কে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। ধৃতের নাম সাইবুদ্দিন বৈদ্য। দক্ষিণ ২৪ পরগণার বাসন্তী থানার খেড়িয়ায় তার বাড়ি। বুধবার বিকালে হাওড়ার গোলাবাড়ি থানার পুলিশ তাকে ধরে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে বর্ধমান থানায় আনা হয়। ঘটনায় জড়িত থাকার কথা ধৃত কবুল করেছে বলে পুলিশের দাবি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জেনেছে, কুন্দনকে খুনে জড়িতরা বিহার ও ঝাড়খণ্ডে গা-ঢাকা দিয়েছে। খুনে জড়িত বাকিদের ধরতে এবং মোবাইল উদ্ধারের জন্য ধৃতকে ৭ দিন পুলিশি হেপাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার রতন কুমার দাস। ধৃতকে ৫ দিন পুলিশি হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম সোমনাথ দাস।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ৬ জুলাই বিকাল সাড়ে ৪টে নাগাদ হাওড়ার ডবসন লেনের একটি হোটেলের সামনে থেকে দু’জন কুন্দনের গাড়ি ভাড়া করে। তারা বর্ধমানের শক্তিগড়ের কাছে আসবে বলে জানায়। পরে তারা আরও কিছুটা যেতে হবে বলে কুন্দনকে জানায়। সেদিনই রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ বর্ধমান শহরের বেচারহাট এলাকায় একটি হিমঘরের কাছে জাতীয় সড়কের পাশ থেকে কুন্দনের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বর্ধমান থানার নলা এলাকা থেকে তার গাড়িটি উদ্ধার হয়। গাড়িটির সামনের দিক তুবড়ে গিয়েছিল। গাড়ি থেকে একটি রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার হয়। মারা যাওয়ার আগে মোবাইল থেকে দুই দুষ্কৃতির ভোটার সচিত্র পরিচয়পত্রের কপি বাবাকে পাঠিয়েছিলেন কুন্দন। সেই সূত্র ধরে তদন্তে নামে পুলিশ। পরে কুন্দনের বাবা পুলিশকে জানান, ঘটনার দিন বিকাল ৫টা ১৮ নাগাদ এক অজানা ব্যক্তি তাকে ফোন করে। চলন্ত গাড়ি থেকে কেউ তাকে ফোন করেছিল বলে পুলিশকে জানান কুন্দনের বাবা। ফোন নম্বরটিও পুলিশকে দেন তিনি। সেই সূত্র ধরে পুলিশ সাইবুদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে। যদিও পুলিশের কাছে ধৃত জানিয়েছে, রাস্তায় একজন তার কাছে ফোন চায়। সরল বিশ্বাসে সে তা দিয়ে দেয়। যদিও একজন অপরিচিতকে ফোন দেওয়ার বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয়নি পুলিশের। হেপাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার কাছ থেকে খুনের বিষয়ে কিছু তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে আশা পুলিশের।