E Purba Bardhaman

ভোটের মুখে তড়িঘড়ি বর্ধমান শহরে আংশিক চালু হল অম্রুত পানীয় জল প্রকল্প, উদ্বোধন হল সৌন্দর্যায়িত নির্মলঝিল শ্মশানের

Partial launch of Amrut drinking water project in Burdwan town, inauguration of beautified Nirmal Jheel crematorium

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- ভোটের আগে বিরোধীদের সমালোচনার জবাব দিতে তড়িঘড়ি উদ্বোধন হল বর্ধমান পুর এলাকায় অম্রুত প্রকল্পে বাড়ি বাড়ি জল প্রদান পরিষেবা। শারীরিক অসুস্থতার জন্য এই প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সশরীরে উপস্থিত হতে না পারায় এদিন তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে উদ্বোধন করেন বর্ধমান পৌরসভার ২টি প্রকল্পের। অম্রুত প্রকল্প ছাড়াও এদিন বর্ধমান শহরের নির্মল ঝিল মহাশ্মশানের সৌন্দর্য্যায়নেরও উদ্বোধন করেন পুরমন্ত্রী। এদিন তিনি জানান, কলকাতার পরই বর্ধমান – যারা উন্নয়নের দিশা দেখাচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, কলকাতার বাসিন্দাদের বর্ধমান আশ্রয় দিচ্ছে – এমন নজীর সৃষ্টি করেছে বর্ধমানের কাঞ্চননগরে বিধায়ক খোকন দাসের উদ্যোগে নির্মিত বৃদ্ধাশ্রম। এদিন পুরপ্রধান পরেশ সরকার জানিয়েছেন, এই অম্রুত প্রকল্প নিয়ে ভাবনা ও যাতনা দুইই ছিল। বিরোধীরা লাগাতার প্রচার করছিল অম্রুত প্রকল্প রূপায়িত হবে না। কিন্তু অবশেষে প্রথম দফায় তাঁরা প্রায় ৩৫ হাজার পরিবারে এই প্রকল্পে জল দেওয়া শুরু করলেন। বুধবার থেকেই এই পরিবারগুলি জল পাবেন। তিনি জানিয়েছেন, দ্বিতীয় ধাপে আরও ৬০-৬৫ হাজার পরিবারকে জল দেওয়া হবে। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ৬ মাসের মধ্যে এই অম্রুত প্রকল্পে সমস্ত নগরবাসী জল পাবেন। এবং এই জল আগামী ৫০ বছর নিরবচ্ছিন্নভাবে পেতে পারবেন। কুমারপুর থেকে দামোদর নদের জল তুলে তা পরিশুদ্ধ করে শহরের ১০টি ওভারহেড ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে এই জল সরবরাহ করা হবে। তিনি জানিয়েছেন, এজন্য খরচ হয়েছে ৪০০ কোটি টাকা। এদিন পুরপ্রধান জানিয়েছেন, আগামী দিনে শহরের সমস্ত রাস্তাকেই তাঁরা পেভার ব্লক করতে চলেছেন। ইতোমধ্যেই বেশ কিছু রাস্তা তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত তিনি জানিয়েছেন, অম্রুত প্রকল্পের পাইপ লাইনের জন্য শহরের রাস্তা খুঁড়ে নষ্ট করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই যে রাস্তায় পাইপ লাইন বসানোর কাজ শেষ হয়েছে সেই রাস্তাগুলিকে দ্রুততার সঙ্গে তৈরি করে দেবার কাজ শুরু হয়েছে। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস আবেদন করেন, যে যা খুশী রাজনীতি করতে পারেন। কিন্তু শহরের উন্নয়নের জন্য সকলে এক হোন। তিনি এদিন বলেন, বর্ধমান শহরের সবথেকে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে টোটো। এই সমস্যার সমাধান না হলে সাধারণ মানুষ রাস্তায় চলতে পারছেন না। অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে, কিন্তু তার জন্য সবাইকে আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে। কেবলমাত্র সমালোচনার জন্য সমালোচনা করবেন না।

Exit mobile version