E Purba Bardhaman

ওয়েব্রিজে মজুত করা বালি লরিতে করে পাচারের সময় গ্রেপ্তার ৪ জন

Police arrested 4 people while storing sand in Weybridge and smuggling it in a lorry.

খণ্ডঘোষ (পূর্ব বর্ধমান) :- ওয়েব্রিজে বালি মজুত করে তা লরিতে করে পাচারের সময় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে খণ্ডঘোষ থানার পুলিস। ধৃতদের নাম আবু নওমন মিদ্যা ওরফে মিলন, নাজিউদ্দিন মল্লিক, শেখ জুলফিকার ও মহাদেব রায়। গলসি থানার রামগোপালপুরে নওমনের বাড়ি। সে পেশায় লরি চালক। খণ্ডঘোষ থানার পদুয়ায় নাজিমউদ্দিনের বাড়ি। সে ওয়েব্রিজের ম্যানেজার। খণ্ডঘোষ থানার ভিট্টা গ্রামে জুলফিকারের বাড়ি। সে ওয়েব্রিজের কর্মী। খণ্ডঘোষ থানারই তিলডাঙায় মহাদেবের বাড়ি। সে জেসিবি মেশিনের চালক। বালি বোঝাই লরিটি এবং জেসিবিটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস। ধৃতদের এদিনই বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। কোথা থেকে বালি আনা হয়েছে, কোথায় তা পাচার করা হচ্ছিল এবং কারা এর সঙ্গে জড়িত তা জানতে নওমন, নাজিমউদ্দিন ও মহাদেবকে ১০ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিস। তিনজনকে ৪ দিন পুলিসি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন সিজেএম। অপরজনকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দেন বিচারক।
পুলিস জানিয়েছে, সোমবার রাতে খণ্ডঘোষ থানার শালুনে একটি ওয়েব্রিজে প্রচুর পরিমাণ বালি মজুত করে তা লরিতে করে পাচার করা হচ্ছে বলে খবর পায় পুলিস। বিষয়টি খণ্ডঘোষের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিককে জানানো হয় পুলিসের তরফে। কিন্তু, সেখান থেকে কোনও উত্তর না মেলায় পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সেখানে তখন জেসিবি মেশিনের সাহায্যে মজুত করে রাখা বালি লরিতে লোড করা হচ্ছিল। কীভাবে এত পরিমাণ বালি সেখানে মজুত করা হল সে বিষয়ে কোনও সদুত্তর না মেলায় পুলিস লরিটিকে বাজেয়াপ্ত করে। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিস জানতে পারে, দামোদর থেকে অবৈধভাবে জেসিবি মেশিনের সাহায্যে বালি তুলে তা ওয়েব্রিজ চত্বরে মজুত করা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে স্বপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে পুলিস।

Exit mobile version