বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়ার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বর্ধমান থানার পুলিস। ধৃতদের নাম দেবরাজ সাহানি, সন্তোষ চৌধুরি, শেখ সরিফ, শুভম প্রসাদ গুপ্ত ও বিক্রম পোদ্দার। মহারাষ্ট্রের পালঘর থানা এলাকায় দেবরাজের বাড়ি। বাকিদের বাড়ি বর্ধমান থানার ইদিলপুর, ফকিরপুর, ধোকরাশহিদ ও রথতলা এলাকায়। পুলিস জানিয়েছে, সোমবার গভীর রাতে কয়েকজন আঁজিরবাগান আন্ডারপাশের কাছে একটি নির্জন জায়গায় স্থানীয় রাইসমিলে ডাকাতির পরিকল্পনায় জড়ো হয়েছিল। খবর পেয়ে সেখানে হানা দিয়ে ওই ৫ জনকে ধরা হয়। দলের কয়েকজন পালিয়ে যায়। ধৃতদের কাছ থেকে ২টি পাইপগান, দু’রাউন্ড গুলি, ভোজালি, তরোয়াল প্রভৃতি উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিস জানিয়েছে। ঘটনার বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে থানা। ধৃতদের মঙ্গলবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তের প্রয়োজনে দেবরাজ, সন্তোষ ও সরিফকে ৭ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিস। তিনজনকে ৩ দিন পুলিসি হেফাজতে পাঠানোর নিের্দশ দেন সিজেএম। বাকিদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে ১৭ জানুয়ারি ফের আদালতে পেশের নিের্দশ দেন বিচারক।
অন্যদিকে, আগ্নেয়াস্ত্র সহ দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে রায়না থানার পুলিস। ধৃতদের নাম নাসির দেওয়ান ও সজল বাগ। রায়না থানার জোতসাদি গ্রামে তাদের বাড়ি। পুলিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোররাতে বাঁধগাছা কালীতলা মোড়ের কাছে ঘোরাঘুরি করছিল ওই দু’জন। খবর পেয়ে পুলিস সেখানে হানা দিয়ে তাদের ধরে। ধৃতদের কাছ থেকে একটি দেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও দু’রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিসের দাবি। ধৃতরা আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ রাখার বিষয়ে সদুত্তর দিতে না পারায় অস্ত্র আইনে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিস। ধৃতদের এদিনই বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় নি পুলিস। আইনজীবী মুন্সি আসাদুজ্জামান জামিনের সওয়ালে বলেন, ধৃতরা সম্পূর্ণ নিের্দাষ। মামলা সাজিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকারি আইনজীবী অবশ্য জামিনের বিরোধিতা করেন। দু’পক্ষের সওয়াল শুনে ধৃতদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে ১৭ জানুয়ারি ফের আদালতে পেশের নিের্দশ দেন সিজেএম।