গণেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- হোয়াটসঅ্যাপে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে এসবিএসটিসি বাসের এক প্রাক্তন চালককে গ্রেপ্তার করেছে খণ্ডঘোষ থানার পুলিস। ধৃতের নাম তারকনাথ উকিল। খণ্ডঘোষ থানার মেটেডাঙায় তার বাড়ি। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি থেকে পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনার বিষয়ে খণ্ডঘোষ থানার লোদনা পঞ্চায়েত এলাকার সিভিক ভলান্টিয়ার দুর্যোধন বজর বৃহস্পতিবার অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে ভুয়ো ভিডিও তৈরি করে তা ছড়িযে দিয়ে এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি ও অশান্তি পাকানোর ৫০৫(১)(বি) ও ৫০৫(২) ধারায় মামলা রুজু করে পুলিস। ধৃতের মোবাইলটি পুলিস বাজেয়াপ্ত করেছে। যদিও গুজব ছড়াতে ব্যবহৃত ভিডিওটি মুছে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিস। শুক্রবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। গুজব ছড়ানোয় জড়িত বাকিদের হদিশ পেতে ধৃতকে ৫ দিন পুলিসি হেপাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার। ধৃতের হয়ে আইনজীবী রামগোপাল মজুমদার ও কমল দত্ত জামিন চেয়ে সওয়াল করেন। তাঁরা বলেন, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। গুজব ছড়ানো ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সিভিক ভলান্টিয়ারকে ভিডিওটি পাঠানো হয়েছিল। যে ধারায় মামলা করা হয়েছে তা প্রযোজ্য নয়। ধৃতের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কিন্তু, সিভিক ভলান্টিয়ারের মোবাইলটি বাজেয়াপ্ত করা হয়নি। ধৃতকে হেপাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের কোনও প্রয়োজন নেই। সরকারি আইনজীবী নারদ কুমার ভূঁইঞা পুলিসি হেপাজতের পক্ষে সওয়াল করেন। দু’পক্ষের সওয়াল শুনে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সপ্তাহে একদিন তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরার শর্তে ধৃতের জামিন মঞ্জুর করেন সিজেএম রতন কুমার গুপ্তা।
পুলিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার সিভিক ভলান্টিয়ারের মোবাইলে হোয়াটসঅ্যাপে একটি ভিডিও পাঠায় তারকনাথ। তাতে দেখা যাচ্ছে, কয়েকজন মহিলা এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। ফাঁকা বাড়ি দেখতে পেলে সেখানে ঢুকে লোকজনকে খুন করে সব চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে মহিলারা। ভিডিওটি সবাইকে শেযার করার জন্য বলে তারকনাথ। পুরো বিষয়টি সাজানো। এ ধরণের গুজব ছড়ানোর ফলে এলাকায় অশান্তির সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি বাইরে থেকে এলাকায় আসা অপরিচিত লোকজনের প্রাণহানি ঘটতে পারে বলে অভিযোগে জানিয়েছেন সিভিক ভলান্টিয়ার।