E Purba Bardhaman

পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় আউশগ্রামে সিপিআই(এম) কর্মী মৃত্যুর ঘটনায় আরও একজন গ্রেপ্তার

Police arrested one more person in connection with the death of a CPI(M) supporter in Ausgram during the panchayat elections

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- আউশগ্রাম থানার বিষ্ণুপুরে সিপিআই(এম) কর্মী শেখ রাজিবুলের মৃত্যুর ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতের নাম সুভাষ আঁকুড়ে। বিষ্ণুপুরেই তার বাড়ি। মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতকে এদিনই বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে ২ জানুয়ারি ধৃতকে ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দেন সিজেএম।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটের আগেরদিন ৬ জুলাই বিকেল ৫ টা নাগাদ বিষ্ণুপুর গ্রামে সিপিএমের কর্মীরা ৭, ৭এ ও ৮ নম্বর বুথের ভোটকর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যান। ভোটকর্মীদের কাছে তাঁরা সুষ্ঠ নির্বাচনের দাবি জানান। সেখান থেকে ফেরার সময় তৃণমূলের লোকজন রড, শাবল, লাঠি, ধারালো অস্ত্র প্রভৃতি নিয়ে সিপিএমের কর্মীদের উপর হামলা চালায়। হামলায় সাদেক আলি গুরুতর জখম হন। অপর এক কর্মী শেখ রজবউদ্দিনও জখম হন। শেখ রাজিবুল মাথায় আঘাত পান। জখমদের বননবগ্রাম ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে রাজিবুলকে বর্ধমানে আনা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতার এনআরএসে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই শনিবার সকাল ৯টা নাগাদ রাজিবুল মারা যান। রাজিবুলের ভাই শেখ আজাহার উদ্দিন ঘটনার কথা জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু হয়েছে। এফআইআরে তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা শেখ আব্দুল লালনের নাম দেওয়া হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। গত ৩ অক্টোবর ১২ জনকে পলাতক দেখিয়ে ২০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করেন তদন্তকারী অফিসার। মামলা থেকে লালনের নাম বাদ দেওয়ার জন্য চার্জশিটে সুপারিশ করেন তদন্তকারী অফিসার। পলাতকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানান তিনি। সেইমতো সুভাষ সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। চার্জশিটে নাম থাকা বেশ কয়েকজনের আগাম জামিন মঞ্জুর করেছে জেলা ও দায়রা আদালত।

Exit mobile version