বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- নারীপাচার চক্রের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে রবিবার এক ব্যক্তিকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতের নাম মন্টু শেখ। বাড়ি বাজেপ্রতাপপুর ডাঙ্গাপাড়া। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ভিন রাজ্যে কাজের নাম করে নাবালিকাকে ফুসলিয়ে নিয়ে যাবার অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার ঝুঝকোডাঙ্গা গ্রামে। এই ঘটনায় পুলিশ টুম্পা খাতুন (২৪), চাঁদনি খাতুন (২২) এবং রহিদা বিবি ( ৫৫) এই তিন মহিলাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, ওই দুই মহিলা গ্রামে এসে ভিন রাজ্যে নিয়ে যাবার চেষ্টা করে এক নাবালিকাকে। গ্রামবাসীরা তাদের ঘিরে রেখে বিক্ষোভ দেখায়। তাদের অভিযোগ গ্রাম থেকে কাজের নাম করে এভাবে আগেও নিয়ে যাওয়া হয়েছে নাবালিকাদের। এদের মধ্যে রহিদা বিবি ওই নাবালিকার দিদিমা। ধৃতদের বাকি দুজনের বাড়ি ভাতারের পলসোনা গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই মহিলা টুম্পা ও চাঁদনি পুলিশী জেরায় জানান, তারা উত্তরপ্রদেশের চাঁদনি ডান্স গ্রুপের সাথে যুক্ত। এই ডান্স গ্রুপে কাজ করার জন্য ওই নাবালিককে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে যাবার জন্য তারা নাবালিকার দিদিমা রহিদা বিবিকে টাকাও দেন। এদিকে, প্রায় ১০ মাস উত্তরপ্রদেশে থাকার পর সম্প্রতি নাবালিকা তার গ্রামে ফেরে। তখনই গ্রামবাসীরা বিষয়টি জানতে পারেন। গ্রামবাসীরা রহিদা বিবিকে জেরা করে। ইতিমধ্যে ওই নাবালিকা ফের উত্তরপ্রদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য ওই দুই মহিলা গ্রামে আসলে তাদের গ্রামবাসীরা আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। ঝুঝকোডাঙ্গা গ্রামে বাসিন্দা সেখ সামসুল তিন জনের নামে লিখিত অভিযোগ করেন ভাতার থানায়। পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার পর তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। এদিকে, ওই দুই মহিলাকে জেরা করে পুলিশ মেয়ে পাচারের মূল পাণ্ডার হদিশ পায়। আর তারপরেই শনিবার রাতে এই চক্রের পান্ডা হিসেবে মন্টু শেখকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।