বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- রংরুটে চলা পুলিশের গাড়ি মোটরবাইকে ধাক্কা মারার অভিযোগে উত্তেজনা ছড়াল। উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। অভিযোগ, বর্ধমান শহরের কার্জন গেটের দিক থেকে নিয়ম মেনে রাস্তার বাঁ দিক দিয়ে হেলমেট সহ এক মোটরবাইক আরোহী বীরহাটার দিকে যাবার পথে বর্ধমানের কালীবাজার মোড়ে জিটি রোডে নীলবাতি লাগানো পুলিশের একটি গাড়ি উল্টো রুটে (রং রুটে) এসে ওই মোটরবাইক আরোহীকে ধাক্কা মারে। এরপরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। উত্তেজিত জনতা ভাঙচুর চালায় পুলিশের গাড়িতে। এই ঘটনায় আহত মোটরবাইক আরোহী উত্তম মইলিকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এব্যাপারে বর্ধমানের নীলপুর এলাকার বাসিন্দা স্বপন কুমার পাল জানিয়েছেন, এদিন বিকালে তিনি তাঁর মোটরবাইক দিয়ে তাঁর গাড়ির চালক উত্তম মইলিকে পাঠান ষ্টেশন এলাকায় তাঁর ভাইকে বাসে তুলে দেবার জন্য। উত্তম মইলি তাঁর ভাইকে বাসে তুলে দিয়ে ফিরছিলেন। কালীবাজার মোড়ের কাছে আসার সময় বীরহাটার দিক থেকে একটি নীলবাতি লাগানো পুলিশের গাড়ি দ্রুতগতিতে রং রুটে ছুটে আসে এবং উত্তম মইলিকে ধাক্কা মারে। উত্তম মইলি রাস্তার পাশে পড়ে যান। তাঁর মাথায় হেলমেট থাকায় তিনি অল্পের জন্য রক্ষা পান। কিন্তু এরপরই পুলিশের গাড়ির চালক গাড়ি থেকে নেমে উত্তম মইলিকেও বেধড়ক পেটাতে থাকে। আর এই ঘটনা দেখে স্থানীয় জনতা রীতিমত ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে। তাঁরা ছুটে আসে। ভাঙচুর চালানো হয় পুলিশের গাড়িতে। আহত উত্তম মইলিকে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এদিকে, এই ঘটনার পরই রীতিমত বিতর্ক দেখা দিয়েছে। যেভাবে পুলিশের গাড়ি রং রুটে দ্রুত গতিতে এসে নির্দিষ্ট পথে আসা মোটরবাইক আরোহীকে ধাক্কা মারার পরও বেপরোয়া হয়ে তাকেই মারধোর করেছে বলে অভিযোগ, আর তা নিয়েই পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নচিহ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। যদিও এব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রিয়ব্রত রায় জানিয়েছেন, মোটর ভেহিকেলস আইন অনুযায়ী জরুরী পরিস্থিতিতে পুলিশের গাড়ি নীলবাতি জালিয়ে রংরুটে যেতেই পারে। এই গাড়িটি ডিএসপি ব্যবহার করেন। এদিন পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনায় মোটর বাইকটির মালিককে তদন্তের জন্য আটক করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মোটর বাইকটির চালক পালিয়ে গেছেন। তাঁর খোঁজ চালান হচ্ছে। মোটর বাইকটিকেও আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পরই বিষয়টি নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।