বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- কনস্টেবল পদে নিয়োগের পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। ধৃতের নাম মৌমিতা সরেন। জামালপুর থানার পর্বতপুরে তার বাড়ি। ঘটনার বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে পুলিশ। কালো কালি দিয়ে মাল্টিপল চয়েসের উত্তর লেখা তার লেগিন্সটি পুলিস বাজেয়াপ্ত করেছে। উত্তরের সঙ্গে প্রশ্নপত্রের মিল খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। এই ঘটনা পুলিশের মহিলা কনস্টেবল নিয়োগের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সম্ভাবনাকে উসকে দিচ্ছে। বর্ধমানের বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ইলেকট্রনিক্সের সরঞ্জাম পায় পুলিস। এমনকি পরীক্ষার্থীর চুলের খোঁপা থেকেও টুকলি মেলে। তবে, পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার আগেই সেগুলি পুলিশ উদ্ধার করে। দপ্তরের নিয়োগের পরীক্ষায় এ ধরণের হাইটেক টুকলির চেষ্টা দেখে বিস্মিত হয়েছেন পুলিশের কর্মীরা। প্রশ্ন ফাঁসের সম্ভাবনা তারাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। সোমবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতকে হেপাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় নি পুলিশ। আইনজীবী কমল দত্ত ধৃতের হয়ে জামিন চেয়ে সওয়াল করেন। তিনি বলেন, ধৃতের অ্যাডমিট কার্ড ও অন্যান্য নথিপত্র বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ধৃতকে হেপাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় নি পুলিশ। তদন্তের প্রয়োজনে তাকে আর আটকে রাখার দরকার নেই। সরকারি আইনজীবী নারদ কুমার ভূঁইঞা জামিনের বিরোধিতা করেন। সওয়াল শুনে ১ হাজার টাকার বন্ডে ধৃতের জামিনমঞ্জুর করেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম সোমনাথ দাস।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাজ্য পুলিশে মহিলা কনস্টেবল পদে নিয়োগের প্রাথমিক পরীক্ষা ছিল। বর্ধমান শহরের বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে সিট পড়ে। শহরের টাউন স্কুলে মৌমিতার সিট পড়ে। বেলা ১১টা নাগাদ গেটে ঢোকার সময় লেগিন্সে কালো কালিতে কিছু লেখা দেখে পুলিশ কর্মী রুমা মুখোপাধ্যায়ের সন্দেহ হয়। তিনি বিষয়টি বর্ধমান মহিলা থানার আইসিকে জানান। আইসি মিতা চক্রবর্তী এসে তার লেগিন্সে লেখা উত্তরের সঙ্গে প্রশ্নপত্রের মিল খুঁজে পান। মাল্টিপল চয়েসের বেশকিছু প্রশ্নের উত্তর লেখা ছিল তাতে। তার লেগিন্সটি ও অ্যাডমিট কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়। ঘটনায় পরীক্ষা কেন্দ্রে চাঞ্চল্য ছড়ায়। মহিলা থানার আইসি ঘটনার বিষয়ে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে সরকারি কর্মীর আদেশ অমান্য করা ও পরিকল্পনামাফিক প্রতারণার ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।