E Purba Bardhaman

পূর্ত দপ্তরে নিয়োগ পেতে শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল শংসাপত্র জমা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার যুবক

Police has arrested a youth for allegedly submitting fake educational qualification certificate to get compassionate appointment in Public Works Department.

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- পূর্ত দপ্তরে অনুকম্পাজনিত নিয়োগ পেতে শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল শংসাপত্র জমা দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে বর্ধমান থানার পুলিস। ধৃতের নাম শেখ মুজিদ ওরফে কালো। ভাতার থানার পাটনা গ্রামে তার বাড়ি। বুধবার ভোররাতে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতকে এদিনই বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। কোথা থেকে সে জাল শংসাপত্র জোগাড় করল তা জানতে এবং ঘটনায় বাকি জড়িতদের হদিশ পেতে ধৃতকে ৭ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিস। ধৃতকে ৪ দিন পুলিসি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন সিজেএম চন্দা হাসমত।
পুলিস ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ত দপ্তরে গ্রুপ-ডি পদে অনুকম্পাজনিত চাকরি পেতে আবেদন করে মুজিদ। চাকরি পাওয়ার জন্য ভাতারের একটি স্কুলের শংসাপত্র জমা দেয় সে। তাতে সে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে বলে লেখা ছিল। চাকরির আগে তার দেওয়া তথ্য যাচাইয়ের জন্য নথিপত্র পরীক্ষা করতে জেলা গোয়েন্দা দপ্তরে পাঠানো হয়। গোয়েন্দা দপ্তরের তদন্তে জানা যায়, সে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করেছে। অষ্টম শ্রেণীর পরীক্ষায় সে ফেল করে। তারপর পড়াশুনা ছেড়ে দেয়। জেলা গোয়েন্দা দপ্তরের তরফে বিষয়টি পূর্ত দপ্তর (সড়ক)-এর জয়েন্ট সেক্রেটারিকে জানানো হয়। স্কুল থেকেও বিষয়টি দপ্তরকে জানানো হয়। এরপরই জয়েন্ট সেক্রেটারি মুজিদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার জন্য নির্দেশ দেন। সেইমতো পূর্ত দপ্তরের বর্ধমান ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার-১ সুজয় রায় প্রতিহার বর্ধমান থানায় মুজিদের বিরুদ্ধে চাকরির আবেদনে নকল নথিপত্র জমা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে জাল নথিপত্র তৈরি করে প্রতারণার ধারায় মামলা রুজু করে থানা। তদন্তে জানা যায়, ২০০১-০২ সালে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ত মুজিদ। পরীক্ষায় সে অকৃতকার্য হয়। তার নকল শংসাপত্রটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

Exit mobile version