E Purba Bardhaman

ট্যাঙ্কারের ধাক্কায় সাইকেল আরোহীর মৃত্যু, কিয়স্কে হামলা ও পুলিসকে মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার ৩ যুবক

The angry mob beat the police due to the death in the accident on the national highway 19, vandalized the traffic kiosk. At Nababhat in Burdwan.

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- তেলের ট্যাঙ্কারের ধাক্কায় সাইকেল আরোহীর মৃত্যুর পর কিয়স্কে হামলা, ভাঙচুর ও পুলিসকে মারধরের অভিযোগে ৩ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে বর্ধমান থানার পুলিস। ধৃতদের নাম এনামূল শেখ, নিয়ামূল শেখ ও মুনাই সরেন। বর্ধমান থানার শিবপুর-দিঘিরপাড় এলাকায় তাদের বাড়ি। মঙ্গলবার রাতে ফাগুপুর পাির্কং এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিস ৩টি বাঁশ ও কয়েকটি প্লাস্টিকের পাইপ বাজেয়াপ্ত করেছে। ধৃতদের বুধবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। ঘটনায় বাকি জড়িতদের হদিশ পেতে এবং মারধরে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের জন্য ধৃতদের ৭ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিস। ধৃতদের ৩ দিনের পুলিসি হেফাজত মঞ্জুর করেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম।
পুলিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ নবাবহাট মোড়ে ট্রাফিক সিগন্যাল পোস্টের কাছে একটি তেলের ট্যাঙ্কারের ধাক্কায় এক সাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে সেখানে যান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা পুলিস ও সিভিক ভলান্টিয়াররা দেহটি উদ্ধার করতে যান। সেই সময় শিবপুর-দিঘিরপাড় এলাকার বেশকিছু যুবক পুলিসকে দেহ উদ্ধারে বাধা দেয়। পুলিসকে লক্ষ্য করে গালিগালাজ করে। তারা ফোন করে লোক জড়ো করে। এরপর তারা পুলিসের উপর হামলা চালায়। হামলায় এ.এস.আই. মুক্তিদাতা দাস, কনস্টেবল রঞ্জন কোলে, সিভিক ভলান্টিয়ার শেখ অরজ আলি ও গ্রিন ভলান্টিয়ার সোমনাথ ভট্টাচার্য জখম হন। এরপর হামলাকারীরা নবাবহাট এলাকায় ট্রাফিসের কিয়স্কে হামলা চালায়। সেখানে ভাঙচুর করে। যান নিয়ন্ত্রণের কাজে ব্যবহৃত মেশিনপত্র ভাঙচুর করে। এমনকি এলাকার সিসি ক্যামেরাও ভেঙে দেয় তারা। খবর পেয়ে বিশাল পুলিস বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জখম পুলিসকর্মী, সিভিক ভলান্টিয়ার ও গ্রিন ভলান্টিয়ারকে স্থানীয় একটি নাির্সংহোমে ভির্ত করা হয়। পরে গোলাপবাগ সাব-ট্রাফিক গাের্ডর এ.এস.আই. অপূর্ব মোহন দাসের অভিযোগের ভিত্তিতে সরকারি কর্মচারীকে কর্তব্যপালনে বাধা দেওয়া, কর্তব্যরত অবস্থায় সরকারি কর্মীর উপর হামলা, মারধর ও খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা রুজু করে বর্ধমান থানা। অন্যদিকে, স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা লরি ও পণ্যবাহী গাড়ি থেকে তোলা আদায় করা হয়। ঘটনার দিনও টাকা তোলার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। যদিও বিষয়টি নিয়ে ডি এস পি ট্র্যাফিক ২ রাকেশ কুমার চৌধুরী জানিয়েছেন সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, মৃত্যুর ঘটনাটি দুঃখজনক। হামলা ও মারধরের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের ক্ষোভ, না উস্কানি। না এর পেছনে অন্য কোনও কারণ আছে সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Exit mobile version