বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- ট্যাব দুর্নীতি কাণ্ডে এবার বিহার যোগ খুঁজে পেল পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। সাইবার ক্রাইম মামলা নম্বর ০৮/২৪-এ গ্রেফতার করা হল বিহারের এক যুবককে। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের এসআইটি বিহারের কিশানগঞ্জ জেলার পোথিয়া থানার মিলনচক কচা খোয়া এলাকার বাসিন্দা রবীন্দ্র প্রসাদ সিংহ (৩৪)-কে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের প্রধাননগর থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। এই প্রথম ট্যাব সংক্রান্ত মামলায় ভিন রাজ্যের বাসিন্দাকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার ধৃতকে শিলিগুড়ি আদালত থেকে ট্রানজিট রিমান্ডে পূর্ব বর্ধমানে নিয়ে আসা হচ্ছে। শুক্রবার তাকে বর্ধমান আদালতে হাজির করা হবে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রকৃত উপভোক্তাদের পরিবর্তে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট নাম্বার জোগাড় করাতে রবীন্দ্র প্রসাদ সিংহের ভূমিকা ছিল। উল্লেখ্য, ট্যাবের এই টাকা বিহারের কিষানগঞ্জের পথিয়া থানা এলাকার ৯ জনের অ্যাকাউন্টে ঢোকে বলে পুলিশ তদন্তে জানতে পারে। ইউপিআই ও এটিএম কার্ড ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট গুলি থেকে টাকা তুলেও নেওয়া হয়। এব্যাপারে সম্প্রতি ৯ জনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বর্ধমানের সাইবার পুলিশ। টাকা ঢোকার জন্য অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররা ৫০০-২০০০ টাকা পর্যন্ত পেয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদে অন্তত এমনই তথ্য পায় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে বিহারের কয়েকজনের নাম পায় পুলিশ। পুলিশ জানতে পেরেছে এদেরকে ভুল বুঝিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলা হত এবং অ্যাকাউন্টের যাবতীয় নথিপত্রও প্রতারকরা তাদের কাছেই রেখে দিত। ইতিমধ্যেই ৩ জনের গোপন জবানবন্দিও নথিভুক্ত করা হয় বর্ধমান আদালতে। অপরদিকে, জানা গেছে, ট্যাবকাণ্ডে চোপড়ার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ম্যানেজারকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে জেলা পুলিশের তরফে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চোপরার এই ব্যাঞ্চ থেকেই ১০ টি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। সেই সমস্ত অ্যাকাউন্টেও ট্যাবের টাকা ঢোকে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আগেই ধৃত রকির কাছ থেকে বিভিন্ন জনের নামে থাকা ১৯টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি ৩৩ টি অ্যাকাউন্টে ঢোকা ট্যাবের টাকা সরকারি তহবিলে ফেরানোর জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয় আদালতে। তার পরিপ্রেক্ষিতে টাকা সরকারি তহবিলে ফেরানোর নির্দেশও দিয়েছে বর্ধমান আদালত।