আউশগ্রাম (পূর্ব বর্ধমান) :- হাসপাতালে “মেডিকেল” করাতে নিয়ে যাওয়ার সময় বোলপুর হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়া খুন ও ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্তকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাকড়াও করলো আউশগ্রাম থানার পুলিশ। অভিযুক্তের নাম রবীন মণ্ডল। সে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের যজ্ঞেশ্বরডিহির আদি বাসিন্দা। পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত রবীন মন্ডল বর্তমানে বীরভূমের নানুরে থাকত। নানুর থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নিজের দ্বিতীয়পক্ষের স্ত্রীকে খুন ও নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ছিল। জেল হেফাজতে থাকাকালীন সময়ে মঙ্গলবার দুপুরে রবীন মন্ডলকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে “মেডিকেল” করাতে আনা হলে পুলিশকর্মীদের অন্যমনস্কতার সুযোগে সে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গেই রবীন মণ্ডলের ছবি পাঠিয়ে বীরভূম ও পূর্ব বর্ধমানের সীমান্তবর্তী থানাগুলিকে অ্যালার্ট করা হয়। আউশগ্রাম থানা এলাকার ছোঁড়া ফাঁড়িতেও ছবি পাঠিয়ে খবর দেওয়া হয়। এদিকে পূর্ব বর্ধমানের ভেদিয়ার কাছে বাগবাটি মোড়ে এক সিভিক ভলানটিয়ার ট্র্যাফিক সামলানোর সময় সন্দেহ হওয়ায় তাঁকে নিয়ে আসামি ধরতে সাতলা গ্রামে পুলিশ অভিযান শুরু করে। জানা গেছে, মোবাইলে থাকা ছবি মিলিয়ে সন্দেহ বাড়ায় অভিযুক্তকে চেজ করা হয়। এদিকে পুলিশ দেখেই ছুটতে শুরু করে অভিযুক্ত। এইসময় সিভিক ভলানটিয়ার সুধাংশু জোয়ারদার তাকে ছুটে গিয়ে ধরে ফেলেন।