গণেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, ভাতার (পূর্ব বর্ধমান) :- ভাতার থানার বাসুদা গ্রামে শ্মশান থেকে বৃদ্ধের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠাল পুলিস। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। মৃতের নাম লক্ষ্মণ মাল (৬৫)। বাসুদা গ্রামে মালপাড়ায় তার বাড়ি। ঘটনায় মৃতের সম্পর্কিত ভাইপো কৃষ্ণ মালকে পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। তার বিরুদ্ধে জেনেবুঝে মৃত্যু ঘটানোর ধারায় (৩০৪ আইপিসি) মামলা রুজু করেছে পুলিস। ভাতার থানার ওসি পুলক মণ্ডল বলেন, বৃদ্ধের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। মারধরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু, ময়না তদন্ত না করিয়েই মৃতদেহ পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছিল। মৃতদেহটি শ্মশান থেকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার ধৃতকে আদালতে পেশ করা হবে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে মদ্যপ অবস্থায় গালিগালাজ করছিলেন লক্ষ্মণ। হামেশাই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তিনি এলাকায় গালিগালাজ করেন। তাকে গালিগালাজ না করার জন্য কৃষ্ণ বলে। তাকেও গালিগালাজ করা হয়। এনিয়ে দুজনের মধ্যে ঠেলাঠেলি হয়। ঠেলাঠেলিতে পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পান লক্ষ্মণ। যদিও তাঁর মাথায় ভারি কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলে মৃতের পরিবারের অভিযোগ। রবিবার গভীর রাতে বাড়িতে মারা যান লক্ষ্মণ। সোমবার ভোরে মৃতদেহ সৎকারের জন্য শ্মশানে নিয়ে যাওয়া। হয়। তাকে পোড়ানোর জন্য চিতা প্রস্তুত ছিল। সেই সময় খবর পায় গ্রামের ভিলেজ পুলিস ও সিভিক ভলান্টিয়ার। মৃতদেহ না পোড়ানোর জন্য বলেন ভিলেজ পুলিস ও সিভিক ভলান্টিয়াররা। তা অগ্রাহ্য করেইমৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরপরই ওসির নেতৃত্বে বিশাল পুলিস বাহিনী শ্মশানে পৌঁছায়। চিতা থেকে কাঠ সরিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহ সৎকারে যাওয়া লোকজন মৃতের কোনও ডেথ সার্টিফিকেট পুলিসকে দেখাতে পারেনি। শ্মশান থেকে কৃষ্ণ সহ ১২ জনকে ধরে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস। অভিযোগ চাপতে এবং মৃতদেহ সৎকারের জন্য মৃতের পরিবারকে অর্থের লোভ দেখানো হয় বলে জানতে পেরেছে পুলিস।