E Purba Bardhaman

সম্পত্তি নিয়ে বিবাদে ভাইকে খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত কাটারি ও লোহার রড বাজেয়াপ্ত করল পুলিস

Complaint against the Dada & Boudi for brutally murdering his Brother in connection with property dispute

গণেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান শহরের লিচুবাগানে বিজয় পণ্ডিতকে খুনে ব্যবহৃত কাটারি ও লোহার রড বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস। সোমবার সকালে খুনের ঘটনায় মৃতের দাদা দিলীপ পণ্ডিত ও বৌদি নীলমকে বর্ধমান থানার পুলিস গ্রেপ্তার করে। সেদিনই আদালতে পেশ করে ধৃতদের ৩ দিন নিজেদের হেপাজতে নেয় পুলিস। হেপাজতে থাকা দিলীপ ও নীলমকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিস। দিলীপের দেখানো জায়গা থেকে কাঠের হাতল যুক্ত ১ ফুট সাড়ে ৩ ইঞ্চির একটি রক্তমাখা কাটারি বাজেয়াপ্ত করে পুলিস। কাটারিটি একটি লাল গামছায় জড়ানো ছিল। গামছাতেও রক্তের দাগ ছিল। কাটারিতে রক্তের দাগের সঙ্গে চুলও লেগেছিল। সেখান থেকেই পুলিস খুনে ব্যবহৃত একটি রড বাজেয়াপ্ত করে। রডেও রক্ত ও চুল লেগেছিল। দিলীপ ভাইয়ের মাথায় ওই কাটারি দিয়ে কোপায় বলে জিজ্ঞাসাবাদে জেনেছে পুলিস। মৃত্যু নিশ্চিত করতে রড দিয়ে বিজয়ের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নীলম আঘাত করে বলে জেনেছে পুলিস। বুধবার ধৃতদের ফের আদালতে পেশ করা হয়। কর্মবিরতির কারণে কোনও আইনজীবী ধৃতদের হয়ে এদিন দাঁড়ান নি। ধৃতদের ২৮ মে পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নিের্দশ দেন সিজেএম রতন কুমার গুপ্তা।
পুলিস জানিয়েছে, স্ত্রী ও আড়াই বছরের ছেলেকে নিয়ে লিচুবাগানের বাড়িতে থাকে বিজয়ের দাদা ও বৌদি। শুক্রবার সন্ধ্যায় দাদা ও ভাইপোকে লিচুবাগানের বাড়িতে পৌঁছাতে যায় বিজয়। পরেরদিন সকালে বাড়ির কলতলা থেকে বিজয়ের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতের মাথায় গভীর ক্ষতচিহ্ন ছিল। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত ছিল। ছোট ছেলেকে দাদা ও বৌদি মিলে খুন করেছে বলে পুলিসের কাছে অভিযোগ করেন মৃতের মা। ঘটনার পর গা ঢাকা দেয় দিলীপ ও নীলম। এতে তাদের উপর সন্দেহ আরও বাড়ে। সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ ও স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে বিজয়কে তাঁর দাদা বৌদির সাহায্য নিয়ে পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে বলে নিশ্চিত পুলিস।

Exit mobile version