বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- উত্তর ২৪ পরগণার বেলঘড়িয়ার এক বাসিন্দাকে সোনার কয়েন দেওয়ার নাম করে ডেকে এনে তাঁর কাছ থেকে ২ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা কেড়ে নেওয়ার ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে নিজেদের হেফাজতে নিল গলসি থানার পুলিস। গত ২ ডিসেম্বর বর্ধমান-গুসকরা রোডে সাই কমপ্লেক্সের কাছে ডাকাতির পরিকল্পনায় জড়ো হওয়ার অভিযোগে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে গুলি ও আগ্নেয়াস্ত্রের পাশাপাশি একটি ধাতব কয়েন উদ্ধার হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে নকল সোনার কয়েনের কারবারে ধৃতদের মধ্যে শেখ সাইফুদ্দিন, শেখ কামরুল জামাল, ওয়ারিশ মল্লিক ওরফে রিপন, মাহে আলম মল্লিক ও মির গিয়াসউদ্দিন জড়িত বলে জানতে পারে পুলিস। ৫ জনকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাতে উত্তর ২৪ পরগণার বাসিন্দার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নেওয়ার ঘটনায় তারা জড়িত বলে জানতে পারে পুলিস। এরপরই আদালতের অনুমতি নিয়ে বর্ধমান সংশোধনাগারে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গলসি থানার পুলিস। জিজ্ঞাসাবাদে টাকা কেড়ে নেওয়ার ঘটনায় ৫ জনের জড়িত থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হন তদন্তকারী অফিসার। এরপরই তাদের ৩ দিন হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানায় পুলিস। সেইমতো সোমবার ধৃতদের আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতদের ২ দিন পুলিসি হেফাজতে পাঠানোর নিের্দশ দেন সিজেএম।
পুলিস জানিয়েছে, চলতি বছরের জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন পান বেলঘড়িয়ার বাসিন্দা শুভঙ্কর পাল। শ্যাম পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি ফোন করে জানায়, সে পেশায় রাজমিস্ত্রি। বাড়ি তৈরির জন্য মাটি কাটার সময় সে কিছু সোনার কয়েন পেয়েছে। সেগুলি সে বিক্রি করতে চায়। তাতে রাজি হন শুভঙ্কর। ২৯ জুলাই তাঁকে ঝাপটার ঢালে আসতে বলা হয়। সেখানে পৌঁছে তিনি দেখেন, দু’জন আগে থেকেই হাজির রয়েছে। তাদের মধ্যে একজন কয়েকটি সোনার মতো দেখতে চকচকে কয়েন দেখায়। সেগুলি দেখে শুভঙ্করের সন্দেহ হয়। তিনি কয়েন নিতে চাননি। ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে কয়েকটি কয়েন তাঁকে নেওয়ার জন্য চাপাচাপি করা হয়। তিনি টাকা বের করলে তাঁর হাতে কয়েকটি কয়েন দেওয়া হয়। এরপর জোর করে তাঁর কাছ থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা কেড়ে নেয় প্রতারকরা। টাকা কেড়ে নেওয়ার পরই তারা মাঠ দিয়ে দৌড় শুরু করে। পিছনে তাঁকে ধরার জন্য লোক আসছে বলে শুভঙ্করকেও দৌড়ে পালাতে বলে প্রতারকরা। ভয় পেয়ে দৌড়ে পালান শুভঙ্কর। পরে তিনি ঘটনার কথা জানিয়ে গলসি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।