E Purba Bardhaman

ফুটবল বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলা দেখাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, উত্তেজনা

Political clash over watching football world cup final match at Tejganj in Burdwan

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল খেলা দেখাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা থেকে হাতাহাতি, সংঘর্ষে জড়ালো একদল যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান শহরের ২২নং ওয়ার্ডের তেজগঞ্জের হারাধনপল্লী এলাকায়। গুরুতর জখম স্থানীয় তৃণমূল নেতা সেখ সবুর আলি ওরফে কালু জানিয়েছেন, রবিবার রাতে বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল খেলায় আর্জেন্তিনা বনাম ফ্রান্সের খেলা দেখানোর জন্য স্থানীয় ক্লাব উদ্যোগ নেয়। খেলা চলাকালীন এলাকারই একদল উচ্ছৃঙ্খল যুবক রীতিমত চিত্কারের পাশাপাশি গালিগালাজ করতে থাকে। এই ঘটনায় এলাকারই অপর একদল যুবকদের সঙ্গে তাদের ঝামেলা বাধে। এই সময় তিনিও গালিগালাজের প্রতিবাদ করায় তাঁকে বাঁশ, লাঠি, রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। এই সময় এলাকার বাসিন্দারাই তাঁকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সার জন্য নিয়ে যান। কালু জানিয়েছেন, এই ঘটনায় বর্ধমান থানায় কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অন্যদিকে, এই ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক কোঁদলের অভিযোগ উঠেছে। কালু জানিয়েছেন, যাঁরা তাঁকে মারধর করেছে তাঁরা সিপিএমের সমর্থক হিসাবেও পরিচিত। যদিও তাঁরা বর্তমানে তৃণমূলের সঙ্গেও থাকে। এব্যাপারে সিপিএম নেতা দীপংকর দে জানিয়েছেন, এই ঘটনার সঙ্গে সিপিএম মোটেও জড়িত নয়। গোটা বিষয়টাই তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূল এলাকার যুবকদের উচ্ছৃঙ্খলতাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। তাই এই ঘটনা। তিনি দাবী করেছেন, যাঁরা মারধর করেছে এবং যাঁরা মার খেয়েছে তাঁরা স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলার নাড়ু ভগতেরই দুই গোষ্ঠীর লোকজন। যদিও এব্যাপারে কাউন্সিলার নাড়ু ভগত জানিয়েছেন, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতি জড়িত নেই। এটা সম্পূর্ণভাবে পাড়াগত বিবাদ। তিনি জানিয়েছেন, যাঁকে মারধর করা হয়েছে তিনি তৃণমূলের কর্মী। তাঁকে এভাবে মারধর করার ঘটনায় পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, তিনি খবর পেয়েছেন কিছু ছেলে সাধারণ মানুষের বাড়িতেও হামলা চালিয়েছে, লাথি মেরে দরজা ভেঙে দিয়েছে বলেও তিনি শুনেছেন। গোটা বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হবে।

Exit mobile version