বিজ্ঞান কংগ্রেসেও রাজনীতি, “মমতা লাও, দেশ বাঁচাও”-এর ডাক মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের
admin
বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- শুক্রবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজ্য সরকারের বিজ্ঞান-প্রযুক্তি এবং বায়ো টেকনোলজি বিভাগের উদ্যোগে ৫ম আঞ্চলিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কংগ্রেসে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিক্ষার মঞ্চেও রাজনীতির প্রসঙ্গে টেনে নিয়ে এলেন রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। এই ঘটনায় শিক্ষা মহলে রীতিমত চর্চা শুরু হয়েছে। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের অডিটোরিয়ামে এই বিজ্ঞান কংগ্রেসে একাধিক মন্ত্রীর আসার কথা থাকলেও কেবলমাত্র মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসই হাজির হন। অন্যান্যদের মধ্যে হাজির ছিলেন জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রমুখরা। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই রাজ্যের নদীয়া, ২৪ পরগণা এবং পূর্ব বর্ধমান জেলায় হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুর বিশ্ববিদ্যালয় তৈরী হতে চলেছে। তিনি বলেন, ক্রমশই বিজ্ঞানের অগ্রগতি ঘটছে। “হোয়াট বেঙ্গল থিনকস টুডে, ইন্ডিয়া থিংস টুমোরো”। তিনি বলেন, “আমি এসেছি বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করতে। পশ্চিমবাংলায় বিজ্ঞান নতুন মাত্রা নিয়ে আসবে। আগামী দিনে সবাইকে বলতে হবে ‘মমতা লাও দেশ বাঁচাও’।” আর তাঁর এই বক্তব্যের পরই শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। বিজ্ঞান কংগ্রেসের বক্তব্যে কেনো এই বক্তব্য? সেই প্রশ্নে রীতিমত অসন্তুষ্ট হয়ে উজ্জ্বলবাবু সাংবাদিকদেরই পাল্টা প্রশ্ন করেন এতে আপনাদের কোনও সমস্যা হচ্ছে? এরপর তিনি বলেন, যেহেতু পশ্চিমবঙ্গে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতি হচ্ছে। তাই দেশ বাঁচাতে বিজ্ঞান বাঁচাতে আমাদের যেটা জরুরী, তাতে মমতাকে দরকার আছে। বাংলাতে দরকার আছে। বিজ্ঞান কংগ্রেসে রাজনীতির প্রসঙ্গ নিয়ে আসা সম্পর্কে তিনি বলেন, রাজনীতি আপনারা (সাংবাদিকরা) ধরছেন বলে মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। এরই পাশাপাশি বিজ্ঞানকে বাঁচাতে গেলে মমতার প্রয়োজন আছে কেন তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন উজ্জ্বলবাবু। তিনি বলেন, এটাতো আপনাদের জানা উচিত, ওনার যেটা ইনোভেটিভ চিন্তাভাবনা, ধারণা, সেটা বিজ্ঞানের সমতূল্য। বিজ্ঞান এমন একটা জিনিস যেটা মাথা থেকে বের হয়। মমতা দিদির সময়ে ‘কন্যাশ্রী’ যেটা পৃথিবীতে মহিলাদের জন্য একটা অন্যতম প্রকল্প। সেটা তো মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মাথা থেকেই বের হয়েছে।