E Purba Bardhaman

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিকের নামে পোষ্টার দেওয়াকে ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে

Stock Photo - The University of Burdwan - Academic Campus - Golabbag Campus - Photo by Sanjoy Karmakar, Purba Bardhaman

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- কাটমানি নয়এবার খোদ নিরাপত্তা বলয়ে থাকা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের কম্পোজিট হিউমিনিটিজ বিল্ডিংএর ভেতর এক অধ্যাপককে নিয়ে পোষ্টার। পোষ্টারে দাবী তোলা শাস্তিরও। এই ঘটনাকে ঘিরে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে রীতিমত প্রশ্ন দেখা দিল। জানা গেছেবৃহস্পতিবার সকালে এই ভবনের বিভিন্ন দেওয়ালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পিজিফ্যাকাল্টি কাউন্সিল অফ সায়েন্স শুভপ্রসাদ নন্দী মজুমদারের নামে বেশ কিছু পোস্টার পড়ে। পোষ্টারে লেখা হয়েছে – ফেলোশিপের দায়িত্ব তোমার কাছে কেড়ে নেবার আগেফেলোশিপ সংক্রান্ত বিষয়ে স্কলারদের ভোগানো হত কেন শুভপ্রসাদ নন্দী মজুমদার জবাব দাও। ছাত্র ভোগানোর কারিগর শুভপ্রসাদ নন্দী মজুমদারের অবিলম্বে শাস্তি চাই। বৃহস্পতিবার সকালে এই পোষ্টার দেখেই রীতিমত চমকে ওঠেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকআধিকারিক থেকে কর্মীরাও। নিরাপত্তার বলয়সিসিটিভি থাকা সত্ত্বেও কারা করলেন এই কাজ – বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে তা নিয়েই। উল্লেখ্যকিছুদিন আগেই শুভপ্রসাদ নন্দী মজুমদারকে তাঁর চেম্বারেই হেনস্থার মুখে পড়তে হয় তৃণমূলের এক ছাত্র নেতার কাছে। তা নিয়ে জল গড়ায় বিধানসভাতেও । সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী সরাসরি এই ঘটনায় উচ্চশিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সমস্ত ঘটনা জানান। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশে নড়েচড়ে বসেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এদিকেএই ঘটনার পর সম্প্রতি কাটমানি ইস্যুতেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দেওয়ালে ছাত্রনেতাদের নামে কাটমানির টাকা ফে্রত দেবার বিষয়ে পোষ্টার পড়ে। কিন্তু এবার সবকিছুকে ছাপিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম‌্যানিটিজ বিভাগের ভেতরেবিভিন্ন আধিকারিকদের চেম্বারের সামনেই শুভপ্রসাদ নন্দীর নামে দেওয়া এই পোষ্টারকে ঘিরে চাঞ্চল্য তুঙ্গে উঠেছে। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়েও বড়সড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এব্যাপারে শুভপ্রসাদ নন্দী মজুমদার গৃহস্থ বড় তালা কিনলে এলাকার চোরেরা রাগ করবেই। এটাইতো স্বাভাবিক। ফেলোশিপ নিয়ে এতদিন যেভাবে কাজ হয়েছে সেই প্রধাগত কাজ না করে এমন একটা পদ্ধতি করেছিলেন যাতে কারোর কোনো অসুবিধা না হয়সবাই সুবিধা পেতে পারে। সেটাই অনেকের কাছে গাত্রদাহের কারণ হয়েছে। তিনি জানিয়েছেনএই ভবনেই কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। একটা নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে কারা এই কাজ করলেন তা তিনি জানার চেষ্টা করছেন। তিনি এর শেষ দেখেই ছাড়বেন। শুভপ্রসাদবাবু জানিয়েছেনএদিন সকালে এই ঘটনায় উপাচার্য তাঁর কাছ থেকে জানতে চান। তিনি তাঁকে যা বলার বলেছেন। তিনি এদিনই কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন গোটা বিষয় নিয়ে। অন্যদিকেএব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টার বা উপাচার্য কেউই ফোন ধরেননি।

Exit mobile version