বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতই বাংলা আবাস যোজনা (সম্পূর্ণ রাজ্য খাতের টাকায়) খাতে পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রায় ২ লক্ষ বাড়ি তৈরীর প্রয়োজনীয় কাজ শুরু হয়ে গেল। চলতি অক্টোবর মাসের ১ থেকে ৩ অক্টোবর এব্যাপারে প্রশিক্ষণের পর শনিবার পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েশা রাণী এ-র তত্ত্বাবধানে জেলার বিধায়কদের নিয়ে এবিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হল। উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের অতিরিক্ত জেলাশাসক শুভলক্ষ্মী বসু, রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, বিধায়ক নেপাল ঘড়ুই, মানগোবিন্দ অধিকারী, মধুসূদন ভট্টাচার্য্য, নবীন বাগ, তপন চট্টোপাধ্যায়, অভেদানন্দ থাণ্ডার, অপূর্ব চৌধুরী, শম্পা ধাড়া প্রমুখ। স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার আবাস যোজনা খাতের টাকা দিচ্ছে না, কেন্দ্রীয় বঞ্চনা চলছে। সেই জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি ছিল বাংলার ৫৯ লক্ষ বাড়ি রাজ্য সরকার করে দেবে। সেই অনুযায়ীই এদিন মিটিং হয়েছে। প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। দ্রুততার সঙ্গে রাজ্য সরকার আবাস যোজনার টাকা ছাড়া শুরু করবে। জেলা প্রশাসনকে দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী জেলার বিধায়ক এবং মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক শুরু হয়েছে। রিপোর্ট তৈরি হয়েছে। তালিকা ধরেই প্রথম কিস্তির টাকার ঢুকবে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এখনও পর্যন্ত সার্ভে অনুযায়ী এই জেলায় ১ লক্ষ ৮৯ হাজার ৯১৬ জন উপভোক্তা রয়েছেন। আগামী ২১ থেকে ৩০ অক্টোবর পর এব্যাপারে বাড়ি বাড়ি সার্ভে চলবে। এরপর গোটা নভেম্বর মাস জুড়ে এব্যাপারে সরকারী প্রক্রিয়া চলবে। আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে টাকা ছাড়া হবে। প্রথম দফায় ৬০ হাজার, দ্বিতীয় দফায় ৪০ হাজার এবং তৃতীয় তথা শেষ দফায় ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, এদিনের এই বৈঠকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে রিপোর্ট তুলে ধরা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, এই প্রকল্প কেবলমাত্র দরিদ্র শ্রেণীর মানুষ যাঁদের মাথায় ছাদ নেই তাঁদের জন্য। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে, এই প্রকল্পে তাঁরাও সুবিধা পেয়েছেন যাঁদের অট্টালিকা সম বাড়ি রয়েছে। এব্যাপারে প্রত্যেক বিধায়ককে সচেতনও করা হয়েছে। উল্লেখ্য, পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের তৃণমূল কংগ্রেসের এক উপপ্রধানের প্রাসাদোপম এই বাড়ি নিয়ে রীতিমত বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। এদিনের রিপোর্টে সেই সমস্ত বাড়ির ছবিও তুলে ধরা হয়েছে।