বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- দফায় দফায় অঝোর বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই সোমবার বিকালে বর্ধমান শহরে ২১ জুলাইয়ের সমর্থনে মহামিছিলে পা মেলালেন হাজারো তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব ও সমর্থকরা। খোদ মহামিছিলের মধ্যমণি রাজ্যের যুবকল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস দাবী করেছেন এদিন ৫০ হাজার মানুষ মিছিল পা মিলিয়েছেন। এরপরই তিনি রীতিমত কটাক্ষ করেছেন এদিনই মেদিনীপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভা নিয়ে। অরূপবাবু বলেন, বিজেপি প্রধানমন্ত্রীর সভায় ১০ হাজার লোকও জোগাড় করতে পারেনি। বিহার, উড়িষ্যা, ঝাড়খণ্ড থেকে লোক এনে মাঠ ভরাতে হয়েছে। অথচ তারাই বাংলা দখলের খোয়াব দেখছে। তিনি বলেন, কেবলমাত্র বর্ধমান শহরে ছোটরাই (বর্ধমান শহর তৃণমূল কংগ্রেস এবং যুব তৃণমূল কংগ্রেস) শহর জুড়ে মিছিলে ৫০ হাজার লোক জড়ো করেছে। বড়রা নামলে ৫০ লাখ লোক জমায়েত হতো। মেদিনীপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় মঞ্চ ভাঙার ঘটনাকে বাংলায় বিজেপির কোনো ঠাঁই নেই বলেও ব্যাখ্যা করেন তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ধমান জেলার পর্যবেক্ষক অরুপ বিশ্বাস। বর্ধমান টাউন হল থেকে বর্ধমান রাজবাটির উত্তর ফটকে মিছিল শেষ হয়। মেদিনীপুরের সভায় বিজেপির সভামঞ্চ ভেঙে যাওয়ায় বিজেপি তৃণমূলের চক্রান্ত দেখছে বলে অরুপ বিশ্বাসকে জানানো হলে তিনি জানান, ওরা উচ্ছৃঙ্খল দল। ওদের মঞ্চ তো ভাঙবেই। ওদের সবাই নেতা। এই মঞ্চ ভাঙার মধ্যে দিয়ে মোদি জেনে গেলেন বাংলায় বিজেপির কোনো ঠাঁই নেই। অরুপ বিশ্বাস বলেন, ওরা সবেতেই চক্রান্ত দেখছেন। এরপর যখন ভারতবর্ষ থেকে মোদি সরে যাবে তখনও তৃণমূলেরই চক্রান্ত দেখবে ওরা। কটাক্ষ করে তিনি বলেন, বিহার, ঝাড়খণ্ড, উড়িষ্যা থেকে ১০ হাজার লোকও জোগাড় করতে পারে না ওরা। এদিনের মিছিলে হাজির ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ, বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, নার্গিস বেগম, পুরসভার কাউন্সিলার, জেলা নেতৃত্বরাও। এদিকে, চলতি বর্ষার মাঝেই ২১ জুলাইয়ের সভা অনুষ্ঠিত হতে চলায় এদিন অরুপবাবু রীতিমত সতর্কও করে দিয়ে গেছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীদের। জানিয়ে দিয়েছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাসে ট্রেনে ঝুলতে ঝুলতে কেউ মিটিংয়ে যাবেন না। তৃণমূল কংগ্রেস কাউকে হারাতে চায় না। সবাইকে বাঁচিয়ে রাখতে চায়। তাই অহেতুক ঝুঁকি নিয়ে যেন কেউ যাবেন না।