Site icon E Purba Bardhaman

২৩ মে-র পর দলের হাল ধরার জন্য তিনি কোনো নেতাকেই পাশে পাননি – বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক

Press Conference - Jai Hind Bahini at Burdwan

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান):- তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের একাংশর দম্ভ এবং অহংকারই গত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের জন্য দায়ী। একথা তিনি সর্বত্র দ্বিধাহীন চিত্তেই বলেন। এমনকি গত ২৩মে-র লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর দলের হাল ধরার জন্য তিনি জেলা বা রাজ্যস্তরের নেতাদের জানিয়েও কোনো ফল পাননি । রবিবার বর্ধমানের একটি অভিজাত হোটেলে বর্ধমান ১ ও ২ নং ব্লকের জয় হিন্দ বাহিনীর কমিটি ঘোষণা করতে গিয়ে এভাবেই বিস্ফোরক হয়ে উঠলেন বর্ধমান উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক নিশীথ মালিক। তিনি এদিন বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের মূল সংগঠন (মাদার) বা কোনো শাখা সংগঠন নয় গোটা বাংলার হাল ধরবে জয় হিন্দ বাহিনী। কারণ গত ২৩ মে লোকসভা নির্বাচনের পর যেভাবে তৃণমূল নেতাদের দম্ভ, অহংকার ক্রমশই দলের শোচনীয় হাল করে তুলেছিল সেই অবস্থা থেকে দল যে পূর্ব বর্ধমান জেলায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে সেটা সম্ভব হয়েছে জয় হিন্দ বাহিনীর জন্যই। Press Conference - Jai Hind Bahini at Burdwan এদিন তিনি বলেন, ২৩ মে-র ফলাফল ঘোষণার পর অধিকাংশ নেতা-কর্মীরাই ঘরে ঢুকে গেছিলেন। তাদের বার করে আনার জন্য তিনি নিজে ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা করলেও জেলা বা রাজ্যস্তরের কোনো নেতাকেই তিনি পাশে পাননি। মূলত, নেতাদের অহংকার আর দম্ভই দলকে এই শোচনীয় জায়গায় নিয়ে গিয়ে দাঁড় করিয়েছে। তৃণমূল বিধায়ক এদিন বলেন, বিজেপি এবং সিপিএম যেভাবে যৌথভাবে আক্রমণ করছে তাকে প্রতিহত করতে পারে একমাত্র জয় হিন্দ বাহিনীই। তৃণমূলের অন্য কোনো সংগঠন দিয়ে সেটা সম্ভব নয়। নিশীথবাবু বলেন, ২৩-মের পর তার বর্ধমান উত্তর বিধানসভায় দলের হাল ধরার কাউকে তিনি পাননি। উল্লেখ্য, এদিন জয় হিন্দ বাহিনীর জেলা সভাপতি রবীন নন্দী জানিয়েছেন, এদিনই তাঁরা বর্ধমান ১ ও ২নং ব্লকের কমিটি ঘোযণা করেছেন। প্রতিটি কমিটি ঘোষণার ক্ষেত্রে দলের বিধায়কদের অনুমতি নিয়ে এবং তাঁদের উপস্থিতিতেই তা করা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, পুজোয় জয় হিন্দ বাহিনী জেলার সমস্ত অনুমোদিত পুজো প্যাণ্ডেলে চুন ও ব্লিচিং ছড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়াও সেভ ড্রাইভ সেফ লাইফের প্রচার চালানোর উদ্যোগ নিয়েছে। করা হচ্ছে পুজো পরিক্রমা এবং শারদ সম্মাননাও। পুজোর পরই তাঁরা গোটা জেলা জুড়ে এনআরসির প্রতিবাদে জোড়ালো আন্দোলনে নামতে চলেছেন। উল্লেখ্য, এদিনই বর্ধমানের বড়শুলে তৃণমূল নেতা অম্বিকা দাসের ওপর হামলা চালায় বিজেপি। তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাঁকে বড়শুল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনা সম্পর্কে এদিন বিধায়ক নিশীথ মালিক জানিয়েছেন, সোমবারই এই ঘটনার প্রতিবাদে জয়হিন্দ বাহিনী বড়শুল অভিযান করবে। জানা গেছে, রবিবার বড়শুল মিল পাড়া এলাকায় একটি সরকারী জায়গায় দোকান বসানোকে ঘিরে বিজেপি – তৃণমূল বিরোধ বাধে। তার জেরেই এদিন বর্ধমান ২নং পঞ্চায়েতের শিক্ষা ও ক্রীড়া কর্মাধ্যক্ষ অম্বিকা দাসকে তার অফিসে ঢুকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়। এই ঘটনায় শক্তিগড় থানায় ৩জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ২জনকে গ্রেপ্তার করেছে। অম্বিকা দাস জানিয়েছেন, এদিন আচমকাই তাঁর অফিসে ঢুকে কেন তিনি এলাকায় দাদাগিরি করছেন সেই প্রশ্ন তুলে তাঁকে মারধর করা হয়।

Exit mobile version