বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- ঠিক এক বছর আগে বন্দে ভারত উদ্বোধন এবং সেই ট্রেন বর্ধমানে উদ্বোধনী স্টপেজ দেওয়ার দিন যে উন্মাদনা দেখা গিয়েছিল তার থেকেও বেশি উন্মাদনা সৃষ্টি হল শনিবার বর্ধমান স্টেশনে অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনকে নিয়ে। অযোধ্যাধাম স্টেশনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মালদা থেকে ট্রেনটির যাত্রার সূচনা করার পর এদিন বিকাল প্রায় ৩ টে বেজে ৫৭ মিনিটে বর্ধমান স্টেশনে ঢোকে মালদা টাউন – ব্যাঙ্গালোর (স্যার এম বিশ্বেশ্বরাইয়া টার্মিনাল) এই সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস ট্রেন। বর্ধমান থেকে ট্রেনের পরবর্তী যাত্রা পথের সূচনা করতে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্রজিত সিং অহলুবালিয়া, হাওড়া ডিভিশনের ডিআরএম সঞ্জীব কুমার, পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র-সহ রেলের আধিকারিকরা। একইসঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির নেতা নেত্রীরাও। আগেই রেলের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে এদিনের জন্য এই রেলের আরামদায়ক ভ্রমণে বর্ধমান থেকে ডানকুনি পর্যন্ত বিনামূল্যে যাত্রার সুবিধার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। ফলে বর্ধমান থেকে এদিন সিংহভাগ যে যাত্রীরা উঠলেন তার মধ্যে কতিপয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি ছাড়া বাকি সকলেই বিজেপির সমর্থক। ট্রেনে উঠে যথারীতি ভারত মাতা কি জয় শ্লোগানও দেওয়া হল। এদিন ডি আর এম সঞ্জীব কুমার জানিয়েছেন, মোদিজী রেলের উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাকে বেশি গুরুত্ব দেন। আর তাই এদিন দুটি অমৃত ভারত ট্রেনের মধ্যে একটি ট্রেনকে বাংলার মধ্যে দিয়ে চালনা করা হচ্ছে। মালদা-ব্যাঙ্গালোর এই এক্সপ্রেস ট্রেন মালদা টাউন থেকে ছেড়ে বাংলার মধ্যে নিউ ফারাক্কা, রামপুরহাট, বোলপুর, বর্ধমান এবং ডানকুনি, আন্দুল, খড়গপুর ও বেলদা স্টেশনে থামবে। মালদা থেকে ট্রেনটি ছাড়বে প্রতি রবিবার সকাল ৮ টা ৫০ মিনিটে। বর্ধমান রেল স্টেশনে পৌঁছানোর সময় দুপুর ১ টা ২০ মিনিট। ট্রেনটি এসএমভিটি ব্যাঙ্গালোর (স্যার এম বিশ্বেশ্বরাইয়া টার্মিনাল) পৌঁছাবে মঙ্গলবার রাত ৩ টেয়। অন্যদিকে, মঙ্গলবার দুপুর ১ টা ৫০ মিনিটে ব্যাঙ্গালোর (স্যার এম বিশ্বেশ্বরাইয়া টার্মিনাল) থেকে ট্রেনটি ছেড়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ১১ টায় মালদা টাউন স্টেশনে পৌঁছাবে। সাংসদ অহলুবালিয়া জানিয়েছেন, রাজধানী এক্সপ্রেসে যে ধরনের স্বাচ্ছন্দ্য দেওয়া হয় এসি ছাড়া সেই ধরনের সবরকমের আধুনিক স্বাচ্ছন্দ্য এবং সুবিধা এই ট্রেনে রয়েছে। অনেকেই চিকিৎসার জন্য, তথ্য প্রযুক্তির জন্য এবং পড়াশোনার জন্য ব্যাঙ্গালোরে যান। তাঁদের হাওড়া কিংবা সাঁতরাগাছি থেকে ট্রেন ধরতে হত। এই ট্রেন চালু হওয়ায় যাত্রীরা বর্ধমান থেকেই ট্রেনে উঠতে পারবেন। মালদা থেকে প্রতি রবিবার ছাড়বে এবং ব্যাঙ্গালোর থেকে মঙ্গলবার ছাড়বে। যদিও সাধারণ মানুষের দাবি সাপ্তাহিকের পরিবর্তে এই ট্রেনকে প্রতিদিন চালালে তবেই প্রকৃত সুবিধা হবে।