বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- দিল্লীর রাজপথে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নেবে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী পূজা কোলে। প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লীর রাজপথে সারা দেশের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স অব ফিজিক্যাল এডুকেশনের ছাত্রী পূজা অভিবাদন জানাবেন রাষ্ট্রপতি-কে। প্রজাতন্ত্র দিবসের এই অনুষ্ঠানে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর উপস্থিতি থাকতে পারার ঘোষণার পরে স্বাভাবিকভাবেই খুশির ছোঁয়া বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে। বাঁকুড়া জেলার কোতলপুরের বাসিন্দা পূজা ছোট থেকেই যোগাতে বিশেষভাবে পারদর্শী। দিদি মৌসুমি কোলের সঙ্গে দেশ, বিদেশ ঘুরে এসেছেন যোগব্যায়াম নিয়েই। এহেন পূজা এবারে ডাক পেয়েছে দিল্লীর রাজপথের কুচকাওয়াজে। খুশির হাওয়া শুধু বিশ্ববিদ্যালয়েই নয়, তাঁর জেলা বাঁকুড়াও আনন্দে মাতোয়ারা তাঁকে নিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এনএসএস সেলের প্রোগাম কোঅডিনেটর রাজেশ দাস বলেন, ‘বাংলা থেকে মাত্র ৮ জন ডাক পেয়েছে আমাদের দেশের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে। সেখানে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী প্রতিনিধিত্ব করবে এটা আমাদের কাছে গর্বের। পূজার এই সাফল্যে আমরাও গর্বিত।’ জানা গেছে, নির্বাচনের শুরুটা হয়েছিল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই। রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে প্যারেড টেস্ট, কালচারাল টেস্ট, ফিটনেস টেস্ট ও পারসোনাল ইন্টারভিউ করা হয়। কলকাতা থেকে পরীক্ষকেরা এসেছিলেন নির্বাচনের জন্য। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একজন ও অন্য দুটি কলেজ থেকে দুজন, মোট তিনজনকে মনোনীত করেন পরীক্ষকেরা। পরে ওড়িষ্যার ভুবনেশ্বরে ১৪ থেকে ২৫ নভেম্বর হয় চূড়ান্ত পর্বের নির্বাচন। এখানে নির্বাচনের তালিকা চূড়ান্ত করতে দিল্লী থেকে এসেছিলেন নির্বাচকরা। সেখানে প্যারেড টেস্টের জন্য ছিল ৫০ নম্বর, কালচারাল টেস্টের ক্ষেত্রে ৩০, ফিটনেস টেস্টে ১০ ও পারসোনাল ইন্টারভিউ ১০ নম্বর। মোট ১০০ নম্বরের উপরে তালিকা তৈরি করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে মোট আট জন নির্বাচিত হয়। যার মধ্যে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র প্রতিযোগী হিসেবে মনোনীত হন পূজা কোলে। ১৫ ডিসেম্বর শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ে মেল পাঠিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তার নির্বাচনের কথা। ৩০ ডিসেম্বর পূর্বা এক্সপ্রেসে দিল্লী যাবে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান শেষ করে আগামী ৩১ জানুয়ারি ফিরবে বাংলার এই আটজন। পূজাও ফিরবে একই সাথে। এব্যাপারে খোদ পূজা জানিয়েছেন, ‘সত্যিই খুব আনন্দ হচ্ছে। দেশের রাষ্ট্রপতির সামনে রাজধানীর রাজপথে তাঁকে অভিবাদন জানাবো এটা ভেবেই। অনেক ছোট থেকেই আমি স্বপ্ন দেখেছি যোগব্যায়ামের মাধ্যমে কিছু করার। এর আগে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরেও গিয়েছি। কিন্তু সত্যি বলতে এতটা আনন্দ কখনো হয়নি। দিল্লী যাবার পর একমাসের ক্যাম্পে আমাদের রাখা হবে রাষ্ট্রীয় ভবনে।