বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- সরকারী জল-জীবন মিশনের ওয়েবসাইট থেকে পাম্প হাউসের ঠিকানা নিয়ে একের পর এক পাম্প হাউসে লুঠপাট চালানোর ঘটনায় জেলা পুলিশের গঠিত টিম ৪ দুষ্কৃতিকে গ্রেপ্তার করল। পুলিশ মেমারী থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে এই ৪ দুষ্কৃতিকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাজ্য সরকারের জল জীবন মিশনের ওয়েবসাইট থেকে দুষ্কৃতিরা বিভিন্ন পাম্প হাউসের ঠিকানা জোগাড় করত। আর তারপর চালানো হত রেইকি। এরপর সুযোগ বুঝে পরিকল্পনা করে একের পর এক পাম্প হাউসে লুঠপাট চালাতো দুস্কৃতিদের এই দল। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই ৪ জন ধৃতদের মধ্যে দু-মাস আগেই জেল মুক্তি পাওয়া ২ জন দুষ্কৃতিও রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত দেড় মাস ধরে জেলা জুড়ে প্রায় ১০ টি পিএইচই পাম্প হাউসে লুটপাট চালায় দুস্কৃতিরা। পাম্প থেকে তামার তার-সহ পাম্প হাউসের বহু মুল্যবান সামগ্রী নিয়ে চম্পট দেয় দুস্কৃতকারীদের দল। একের পর এক অভিযোগের পরিপেক্ষিতে দুস্কৃতিদের ধরতে রীতিমতো টিম গঠন করে তদন্তে নামে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। তারপরই এই সাফল্য পাওয়া গেছে। পুলিশসূত্রে জানা গেছে, ধৃত সজল মন্ডল, সোমনাথ বসু খণ্ডঘোষ থানা এলাকার বাসিন্দা এবং আফজল শেখ ও তফিজুল শেখ মেমারি থানা এলাকার বাসিন্দা। ধৃতদের শনিবার পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে। জানা গেছে, সোমনাথ বসু ও সজল মন্ডল দু-মাস আগে বাঁকুড়ার জেল থেকে ছাড়া পায়। দু-জনের নামেই একাধিক থানায় বহু অভিযোগ আছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। তদন্তে নেমে শুক্রবার সন্ধ্যায় মেমারির ইছাপুর থেকে প্রথম আফজল শেখকে আটক করে পুলিশ এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মেমারির বিভিন্ন এলাকা থেকে বাকি তিনজনকে আটক করা হয়। সজল মন্ডল ও সোমনাথ বসু পাম্পের কয়েলগুলি চুরি করত এবং আফজল শেখ ও তফিজুল শেখ সেগুলি বিক্রি করত বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। ধৃতদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া বেশ কিছু সামগ্রী উদ্ধার করার পাশাপাশি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে চুরি করার একাধিক সরঞ্জাম। ঘটনার সাথে যুক্ত বাকিদের হদিশ পেতে এবং চুরি যাওয়া বাকি সামগ্রী উদ্ধার করতে ধৃতদের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।