বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- কলেজে ভর্তি হতে হলে শাসকদলের ছাত্রনেতাদের তোলা দিতে হবে। কয়েকদিন ধরেই রাজ্যজুড়ে এই অভিযোগ উঠছে। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। তোলাবাজদের বিরুদ্ধে পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন। তোলাবাজি বন্ধে শনিবার কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে প্রচার অভিযান। এরপর রবিবার পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রচার অভিযান শুরু হল। জেলা পুলিশের কর্তারা এই প্রচারের ক্ষেত্র হিসাবে সোশ্যালিমিডিয়াকে বেঁছে নিয়েছেন। এদিন জেলা পুলিশের ফেসবুক পেজে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে জানান হয়েছে, “কলেজে ভর্তির জন্য কেউ টাকা চাইছেন? কেউ প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন টাকার বিনিময়ে কোন নির্দিষ্ট বিভাগে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার? এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলেই সেই ব্যক্তির ব্যাপারে জানান পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশকে, দিন-কাল এবং কলেজের নাম সহ। জানান নিজের নাম ঠিকানা ও ফোন নম্বর।” অভিযোগ জানানোর জন্য হোয়াটসআপ নম্বর এবং একটি ইমেল আইডিও প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া হোয়াটসআপ নম্বরটি হল ৯০৭৩৬৭৬২৩৬ এবং ইমেল আইডি crimepurbabwn@gmail.com। অভিযোগকারীর পরিচয় গোপন থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, পূর্ব বর্ধমান জেলার একাধিক কলেজে তৃণমূল নেতাদের দাদাগিরী, ভর্তির জন্য টাকা আদায়ের অভিযোগ তুলেছে এসএফআই। শনিবার এসএফআই-এর জেলা সম্পাদক অনির্বাণ রায় চৌধুরী প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছেন, বর্ধমান রাজ কলেজ, বিবেকানন্দ কলেজ, শ্যামসুন্দর কলেজ, হাটগোবিন্দপুর কলেজ, গলসী কলেজ সহ একাধিক কলেজে তৃণমূলের নেতারা কলেজের বাইরে বসে রয়েছেন। কলেজে ভর্তির জন্য তারা সরাসরি টাকা দাবী করছেন। মেধার পরিবর্তে অর্থকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়েও রীতিমত অস্বচ্ছতা ধরা পড়ছে বলে এসএফআই-এর জেলা সম্পাদক অভিযোগ করেছেন।