বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ সত্ত্বেও বর্ধমান জেলার বেশ কয়েকটি ব্লকের বন্যাজনিত কারণে নষ্ট হয়ে যাওয়া রাস্তার কাজ শুরুই করতে পারলো না পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ। গত ২২ সেপ্টেম্বর পূর্ব বর্ধমানে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই সময় গোটা রাজ্যের অন্যান্য কয়েকটি জেলার সঙ্গে পূর্ব বর্ধমানের রায়না, জামালপুর, খণ্ডঘোষ, আউশগ্রাম প্রভৃতি ব্লকেও একাধিক রাস্তা নষ্ট হয়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রী জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে দ্রুততার সঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি মিটলেই রাস্তার কাজ করার নির্দেশ দিয়ে যান জেলা প্রশাসনকে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই রাস্তার কাজ করার নির্দেশ দেন তিনি। জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়েই তৎপর হয় জেলা পরিষদ। জেলা পরিষদ থেকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্লকগুলিকে বেহাল রাস্তার তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়। আর সমস্যা তৈরি হয়েছে এখানেই। জানা গেছে, জেলা পরিষদ থেকে যে তালিকা চাওয়া হয়েছিল সেই তালিকায় বন্যার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার নাম না পাঠিয়ে সামগ্রিক ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার নাম পাঠিয়ে দেওয়া হয়। জানা গেছে, এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্লকগুলি থেকে শতাধিক রাস্তার তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। জানা গেছে, এতগুলি রাস্তা মেরামত করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সমস্যা দেখা দেয়। গোটা বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে জেলা পরিষদ। কীভাবে এত রাস্তার তালিকা এল তা খতিয়ে দেখতে গিয়েই ভুল ধরা পড়ে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার জানিয়েছেন, বোঝাবুঝির কিছু সমস্যার জন্য এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি বুঝতে পারার পর তাঁরা সুনির্দিষ্টভাবে কেবলমাত্র বন্যার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার তালিকা তৈরি করেছেন। সাকুল্যে ১২-১৩টি এরকম রাস্তা রয়েছে। সেই সমস্ত রাস্তার টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে যে সমস্ত রাস্তা অল্প কিছু ঠিক করার দরকার তারও কাজ শুরু হয়েছে।